শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫, ০২:৪২:৪৪

প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত বিএনপির

প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত বিএনপির

শেখ মামুনূর রশীদ ও নজরুল ইসলাম : প্রতিকূলতার মধ্যে পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। তৃণমূলের রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি খসড়া থেকে দলীয় প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়। এতে কারাবন্দি অনেক নেতার নামও আছে। নামের লিস্ট দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাতে। চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম কেন্দ্র থেকে পর্যায়ক্রমে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। জোটের শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা হলে বিএনপির দলীয় তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহানকে দলীয় প্রার্থীদের প্রত্যয়নের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) বিধিমালা অনুযায়ী মোহাম্মদ শাহজাহান দলীয় প্রার্থীদের প্রত্যয়ন করবেন। শুক্রবার সারা দেশে বিএনপির জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। আজ এ চিঠি সংশ্লিষ্ট জেলার রিটার্নিং অফিসার অথবা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। মোহাম্মদ শাহজাহানের তিনটি নমুনা স্বাক্ষর সত্যায়িত করেন দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া। এই তিনটি স্বাক্ষরের যে কোনো একটি দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে থাকতে হবে। তবেই তিনি দলের প্রতীক বরাদ্দ পাবেন। আজ প্রত্যয়নকারীর নাম ও নমুনা স্বাক্ষর জমা দেয়ার শেষ দিন। জানা গেছে, যুগ্ম মহাসচিব শাহজাহানের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি দল গত কয়েক দিন ধরে তৃণমূল থেকে পাঠানো নেতাদের নাম নিয়ে কাজ করেন। নানা ধরনের যাচাই-বাছাই শেষে প্রাথমিকভাবে খসড়া তালিকা তৈরি করেন। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার এ তালিকা থেকে প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করেন। জোটের শরিকদের বাইরে রেখেই বিএনপি দলীয় প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করেছে। কৌশলগত কারণে কোথাও কোথাও একাধিক প্রার্থী রাখা হয়েছে। তবে অধিকাংশ স্থানে বিএনপি সমর্থিত বর্তমান মেয়রের নাম প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়েছে। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন অথচ স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় এবং ক্লিন ইমেজের ব্যক্তির নামও স্থান পেয়েছে চূড়ান্ত এ তালিকায়। চূড়ান্ত তালিকায় নাম আছে এ ধরনের অধিকাংশ নেতা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে আত্মগোপনে আছেন। যারা বাইরে আছেন, তাদের সঙ্গে প্রচারে নামার মতো সমর্থক পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মী-সমর্থকরা ভয়ে নেতার সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে নামতেও ভয় পাচ্ছেন। দলীয় প্রতীক ধানের শীষকেই ভরসাস্থল হিসেবে দেখছেন প্রার্থীরা। তাদের মতে প্রতীকের কারণেই তারা নির্বাচনে জয় লাভ করবেন। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে পৌর নির্বাচনে শর্তসাপেক্ষে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শর্তের মধ্যে আছে, ভোট গ্রহণের দিন ১৫ দিন পিছিয়ে পুনঃতফসিল করা, অবিলম্বে গণগ্রেফতার বন্ধ, মিথ্যা মামলায় আটক নেতাকর্মী-সমর্থকদের মুক্তি, পৌর এলাকায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলি এবং আগামী ২ জানুয়ারিতে ৫০ লাখ নতুন ভোটারদের আসন্ন নির্বাচনে অন্তর্ভুক্তিকরণ, নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে শুধু নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান। জানা যায়, বিএনপি মনে করে, যেহেতু এই পৌর নির্বাচন জোটগতভাবে করার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় জোটের শরিকদের সঙ্গে নিয়ে এই নির্বাচনের মাঠে নামাতে চান দলের হাইকমান্ড। সে ক্ষেত্রে জোটের যোগ্য প্রার্থীদের বিবেচনায় নেয়া হবে। এক্ষেত্রে জোটের শরিকদের জন্য সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ ছাড় দিতে পারে বিএনপি। এমন মনোভাব বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ারও। সেক্ষেত্রে ২৩৪ পৌর সভার মধ্যে ২৪টিতে বিএনপির বাইরে জোটের প্রার্থী থাকতে পারে। তবে জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত পঞ্চাশটির মতো পৌরসভায় প্রার্থী দিতে চায়। এ ধরনের একটি তালিকা তারা বিএনপি নেতাদের দিয়েছে, দিতে যাচ্ছে দলটি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে খালেদা জিয়ার সামনে টেবিল চাপড়ে দর কষাকষি করেছিল যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। জামায়াতের সেই অবস্থা এখন আর নেই। তাদের যা দেয়া হবে, তা নিয়েই খুশি হবে বলে মনে করেন এই বিএনপি নেতা। তবে দলের অপর সূত্র জানায়, যদি মনে হয় নির্বাচনে জোট প্রার্থী পাস করার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেক্ষেত্রে বিএনপি বিকল্প প্রার্থী দেবে। জানা গেছে, জোটের শরিকদের মধ্যে জামায়াত ও এলডিপি ছাড়া আর কোনো শরিককে আপাতত ছাড় দেয়ার কথা ভাবছে না বিএনপি। জোটের শরিক ওইসব দলের সাংগঠনিক অবস্থাও তেমন নেই। কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের নেতারা জানান, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের অধিকাংশই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অথবা কেউ কেউ আটক হয়ে কারাগারে আছেন। দুই বিদেশী ও দুই পুলিশ সদস্য খুন এবং হোসনি দালানে বোমা বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনার পর গত সপ্তাহে সারা দেশে শুরু হয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান। বিএনপির দাবি, এ অভিযানের পর তৃণমূলে তাদেও নেতাকর্মীদের ওপর আবার নেমে এসেছে গ্রেফতারের খড়গ। দিবানিশি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে চলছে তল্লাশি। কোথাও কোথাও তাদের না পেয়ে কর্মী-সমর্থক কিংবা পরিবারের সদস্যদেরও ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মী। জামায়াতসহ মিত্রদের নিয়ে এ সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি হবে। আর যারা বাইরে আছেন, তাদের প্রায় সবাই গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ অভিযান চালানো হচ্ছে- সরকারের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হলেও তা মানতে নারাজ বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারকসহ তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, নির্বাচনী মাঠ ফাঁকা করতেই এ কৌশল। বিএনপির প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা যাতে মাঠে থাকতে না পারে সেজন্য এসব চলছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে এ ধরপাকড়ের মাত্রা তত গতি পাচ্ছে। নির্বাচন পর্যন্ত এ গতি থাকতে পারে। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে যারা ভোটে ফ্যাক্টর, সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী, নির্বাচনে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। যারা বিভিন্ন মামলায় জামিন নিয়ে এলাকায় দলীয় কার্যক্রম শুরু করেছেন তাদের বিরুদ্ধে দেয়া হচ্ছে নতুন নতুন মামলা। গ্রেফতার এড়াতে নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যাচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, মাঠ ফাঁকা করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত একাধিক প্রার্থী এলাকায় তৎপরতা শুরু করেছেন। তারা যাচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন আদৌ সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়েও তাদের মধ্যে রয়েছে শংকা। দলীয় চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা : চলমান পরিস্থিতিতে আসন্ন সব পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন : রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত তালিকায় রাখা হয়েছে সিরাজুল ইসলাম, আড়ানীর নজরুল ইসলাম মাস্টার, নওগাঁ সদরে নাজমুল হক সানি, জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে আলমগীর চৌধুরী বাদশাহ, নাটোর সদরে এমদাদুল হক আল মামুন, বান্দরবান সদরে জাবেদ রেজা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে নূর সাইদ, কাজীপুরে আবদুস সালাম, কিশোরগঞ্জ সদরে হাজী ইস্রাফিল, ভৈরবে হাজী মোহাম্মদ শাহীন, নরসিংদী রায়পুরায় আবদুল কুদ্দুস, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এবিএম জিলানী, রামগতিতে শাহেদ আলী পটু, চট্টগ্রামের মিরেশরাই ফকির আহমেদ, সীতাকুণ্ডতে ইউসুফ নিজামী, রাউজানে আবদুল্লাহ আল হাসান, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মজিবুর রহমান, মানিকগঞ্জের সিংগাইরে অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, জামালপুরের শেরপুরে ফজলুল করিম তালুকদার শাহীন, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী চাঁন মাহমুদ, ঢাকা ধামরাইয়ে নাজমুল হাসান অভি, বগুড়া সদরে মাহবুবুর রহমান, শরীয়তপুর সদরে একেএম নাসির উদ্দিন কালু, জাজিরায় ইকবাল শিকদার, ডামুরদা আলী আকবর, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তাহের পলাশ, লাকসামে সুভাশ বণিক, চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে এনামুল হক বাদল, কক্সবাজার সদর আজিজুর রহমান, চকরিয়ায় নূরে আলম হায়দার লক্ষ্মীপুর সদরে শাহবুদ্দিন শাবু অথবা হাসানুজ্জামান চৌধুরী মিন্টু। তবে সিলেট ও হবিগঞ্জে বর্তমানে যারা মেয়র রয়েছেন তাদেরকেই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য পৌরসভার ক্ষেত্রে একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। শুধু যারা প্রার্থী হতে চাননি তাদেরকে এ তালিকায় রাখা হয়নি বলে সূত্র জানায়। আমাদের প্রতিনিধিরা জানান, চট্টগ্রামের বারৈয়ারাহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং বিএনপি নেতা জালাল আহমেদ, সিলেটের জকিগঞ্জ পৌরসভায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বদরুল হক বাদল, গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহীন ও বর্তমান সভাপতি মশিকুর রহমান মহি, মৌলভীবাজার পৌরসভায় বর্তমান মেয়র মো. ফয়জুল করিম ময়ূন, কমলগঞ্জ পৌরসভায় আবু আহমেদ জমশেদ ও হাসিন আহমদ চৌধুরী, কুলাউড়া পৌরসভায় বর্তমান মেয়র কামাল উদ্দিন জুনেদ, বড়লেখা পৌরসভায় বর্তমান মেয়র ফখরুল ইসলাম ও আনোয়ারুল ইসলাম, চুনারুঘাট পৌরসভায় বর্তমান পৌর মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু। বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহিন শুক্রবার যুগান্তরকে জানান, বানারীপাড়ায় মাহবুবুর রহমান মাস্টার ও উজিরপুরে শহীদ হোসেন খানকে নির্বাচনের জন্য প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকেরগঞ্জ পৌরসভা এখন পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় দুজন রয়েছেন। এরা হলেন মতিউর রহমান মোল্লা ও রাজিব আহমেদ। বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান জানান, মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে গিয়াস উদ্দিন দীপেনকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, ঝালকাঠির নলসিটিতে মুজিবুর রহমানের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। যশোরের ৬টি পৌরসভার মধ্যে সদরে মারুফুল ইসলাম, চৌগাছা পৌরসভায় পৌর বিএনপির সভাপতি বর্তমান মেয়র সেলিম রেজা ওলিয়ার, নওয়াপাড়া পৌরসভায় বর্তমান মেয়র রবিউল ইসলাম, বাঘারপাড়ায় বর্তমান মেয়র আবদুল হাই মনা, কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির বর্তমান মেয়র আবদুস সামাদ বিশ্বাস ও মশিয়ার রহমান, মণিরামপুর পৌর নির্বাচনে বিএনপির বর্তমান মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবালের নাম রয়েছে তালিকায়। খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা পৌরসভায় বিএনপির আহ্বায়ক শেখ আবদুল মান্নানের প্রার্থিতা চূড়ান্ত হয়েছে। পাইকগাছা পৌরসভায় বিএনপি নেতা মিরাজুল ইসলাম সম্ভাব্য প্রার্থী। খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম মনা বলেন, চালনা পৌরসভায় প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম বলেন, মোরেলগঞ্জে আবদুল মজিদ জব্বার ও মংলায় মো. জুলফিকার আলীকে মেয়র পদে প্রার্থী করা হয়েছে। সাতক্ষীরার সদর পৌরসভায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাসকিন আহমেদ চিশতি, কলারোয়া পৌরসভায় বরখাস্তকৃত মেয়র আক্তারুল ইসলাম ও পৌর বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম সম্ভাব্য প্রার্থী। নড়াইল জেলার ৩টি পৌরসভার মধ্যে দুটিতে নির্বাচন হবে। সদরে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বরখাস্তকৃত মেয়র জুলফিকার আলী মণ্ডল ও কালিয়া পৌরসভায় পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক একরাম রেজা ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক স ম অহিদুজ্জামান সম্ভাব্য প্রার্থী। রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরসভার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তী। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভায় আদম আলী, লালমনিরহাট পৌরসভায় হাফিজুর রহমান বাবলা, আবদুল হালিম, পাটগ্রাম পৌরসভায় পৌর বিএনপির সভাপতি মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল, পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম শ্যামল। কুড়িগ্রাম পৌরসভায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র মো. নুর ইসলাম নুরু, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক মেয়র আবু বকর সিদ্দিক, উলিপুর পৌরসভায় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আবদুর রাজ্জাক, পঞ্চগড় পৌরসভায় বিএনপি নেতা বর্তমান মেয়র তৌহিদুল ইসলাম সম্ভাব্য প্রার্থী। গাইবান্ধায় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদুল হক ছানা, বর্তমান জেলা সাধারণ সম্পাদক গাওছুল আযম ডলার ও শহর বিএনপির সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদ। গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ফারুক আহমেদ। ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর মেয়র আ. শুকুর শেখ, নগরকান্দা পৌরসভায় আলীমুজ্জামান সেলু, আসাদুজ্জামান, রাজবাড়ী সদরে ইঞ্জিনিয়ার অর্ণব হৃসিত, তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পাংশায় হাবিবুর রহমান রাজা, শওকত সর্দার, চাঁদ আলী খান, গোয়ালন্দে ইদ্রিস আলী, আবুল কাশেম, মাদারীপুর সদরে জাহান্দার আলী জাহান, মিজানুর রহমান মুরাদ, কালকিনিতে মাহাবুব হোসেন মুন্সি, শিবচরে হেমায়েত হোসেন, বাকাউল করিম খান, শরীয়তপুর সদরে নাসির উদ্দিন কালু, জাজিরায় ইকবাল সিকদার, ভেদরগঞ্জে আবুল হোসেন ঢালী, নড়িয়ায় শাজাহান বেপারী, ডামুড্ডায় আলমগীর মাদবর। কুমিল্লার চান্দিনায় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় আছেন বর্তমান মেয়র ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মোহাম্মদ আলমগীর খান ও পৌর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আবদুল কাদের সরকার। হোমনায় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আলমগীর সরকার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সানাউল্লাহ সরকার, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাজা। চৌদ্দগ্রামে বিএনপির প্রার্থী পৌর বিএনপির সভাপতি ড. জিএম নয়ন বাঙালি। বরুড়ায় বর্তমান পৌর মেয়র ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী। জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমরা নির্বাচন করতে চাই বলেই অতিমাত্রায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। নির্বাচনের পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখতে তিনি গ্রেফতার ও নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান। নোমান আরও বলেন, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় খুব কম। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সার্বিক কার্যক্রম শেষ করা কঠিন। এ জন্য নতুন করে তফশিল ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। -যুগান্তর ২৮ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে