ফেসবুক নিয়ে যে বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার
নিউজ ডেস্ক : জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুককে লেখা ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সন্তোষজনক জবাব দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান।
ফেসবুক ব্যবহার করে বাংলাদেশে ধর্মীয় উস্কানি ও নারীর অবমাননা ঠেকাতে ফেসবুকের সঙ্গে একটি চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
আগামী ৬ কিংবা ৭ ডিসেম্বর তারা ঢাকায় আসতে পারেন।
এর আগে গত সোমবার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, এর সঙ্গে বর্তমানে বন্ধ থাকা ফেসবুক খুলে দেয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার চাইলে যেকোনো সময় ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেয়া হবে।
তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে সরকার সাইবার সন্ত্রাস বিশেষ করে নারীর প্রতি সহিংসতা কমিয়ে আনতে পারবে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
এটি হলে যেকোনো অ্যাকাউন্টের তথ্য পেতে ও কোনো কনটেন্ট মুছে ফেলতে বলতে পারবে সরকার। এ জন্য সরকার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে পারে, যাতে কেউ ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলতে না পারে।
গত জুনের পর থেকে সম্প্রতি ফেসবুকের কাছে তিনটি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছিল সরকার। তবে চুক্তি না থাকায় তথ্য জানানো হয়নি। এর আগে ফেসবুক ২০০৬ সালে এ ধরনের চুক্তি করতে সরকারকে চিঠি দিয়েছিল। তাতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্যের জন্য দায়ী নয়। এর ব্যবহারকারীরাই তথ্যের জন্য দায়ী।
কিন্তু তখন সরকার ফেসবুকের শর্তে রাজি হয়নি। এ চুক্তি না থাকায় সরকার কোনো তথ্য চেয়ে আবেদন করলেও তা দেয়া হয় না।
২ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম