বুধবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:৫৬:৩৪

একজন মেয়র প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয়

  একজন মেয়র প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয়

ঢাকা : আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে একজন মেয়র প্রার্থী সর্বোচ্চ ব্যয় করতে পারবেন সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। তবে সংশ্লিষ্ট পৌরসভার ভোটার সংখ্যা হতে হবে এক লাখের বেশি। এর কম ভোটার সংখ্যা হলে তাও নির্ধারণ করে দিয়েছে ইসি। প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় অবহিত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে প্রার্থীদের ব্যয়ের সীমা ও হিসাব দাখিলের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে অবহিত করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন ইসির উপ-সচিব সামসুল আলম। নির্বাচনী ব্যয় বলতে প্রচারপত্র বা প্রকাশনার মাধ্যমে অথবা অন্য কোনোভাবে ভোটারদের কাছে কোনো প্রার্থীর অভিমত, লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য উপস্থাপনের জন্য ব্যয়িত অর্থকে বোঝানো হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন পরিচালনার জন্য দান, ঋণ, অগ্রিম, জমা বা অন্য কোনোভাবে পরিশোধিত অর্থও নির্বাচনী ব্যয় হিসেবে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে ২৫,০০০ ভোটারের পৌরসভার জন্য মেয়র প্রার্থী সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা, ২৫,০০১ থেকে ৫০,০০০ ভোটারের এলাকা হলে সর্বোচ্চ ৩ লাখ, ৫০,০০১ থেকে এক লাখ ভোটারের এলাকার জন্য ৪ লাখ টাকা ও এক লাখের বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ লাখ টাকার ব্যয় করতে পারবেন। ব্যক্তিগত খরচ বাবদ মেয়র প্রার্থীরা ২৫,০০০ ভোটারের এলাকার জন্য ১০,০০০ টাকা, ২৫,০০১ থেকে ৫০,০০০ ভোটারের এলাকার জন্য ২০,০০০ টাকা, ৫০,০০১ থেকে এক লাখ ভোটার এলাকার জন্য ৩০,০০০ টাকা ও এক লাখের বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। এদিকে সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ব্যয় করতে পারবেন ২ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ৫,০০০ ভোটার এলাকা বা ওয়ার্ডের জন্য ব্যক্তিগত খরচ ৫,০০০ টাকা ও নির্বাচনী ব্যয় বাবদ ৫০,০০০ টাকা, ৫,০০১ থেকে ১০,০০০ ভোটার এলাকার জন্য ব্যক্তিগত ৭,০০০ টাকা ও নির্বাচনী ব্যয় ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে ইসি। এরপর ১০,০০১ এক থেকে ২০,০০০ ভোটার এলাকার জন্য ব্যক্তিগত খরচ ১০,০০০ টাকা ও নির্বাচনী ব্যয় ১ লাখ ৫০,০০০ টাকা এবং ২০,০০০ এর বেশি ভোটারের এলাকার জন্য ব্যক্তিগত খরচ ১৫,০০০ টাকা ও নির্বাচনী ব্যয় সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এই ব্যয় কোনো তফসিলি ব্যাংকের নির্ধারিত অ্যাকাউন্ট থেকে করতে হবে। তবে প্রার্থী নিজে নির্বাচনী এজেন্ট হলে ব্যক্তিগত খরচ ছাড়া অন্যান্য ব্যয় দাখিল করতে হবে। নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে হিসাব দাখিল করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিদিনের হিসাবও থাকতে হবে। এ ব্যাপারে উপ-সচিব সামসুল আলম বলেন, ইসির নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রার্থীদের অবহিত করতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রার্থীদের অবহিত করবেন। কোনো প্রার্থী ব্যয়-সংক্রান্ত নির্দেশনা না মানলে নির্বাচিত হওয়ার পরও তার প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে ইসি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ঘোষিত পৌরসভাগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। কেবল মেয়র পদেই দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করবে ইসি। কাউন্সিলর ও সংরিক্ষত কাউন্সিলর পদে আগের মতোই নির্বাচন সম্পন্ন করবে ইসি। ২ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে