নিবার্চনে থাকছে ৭৪ প্রতীক
ঢাকা : এবার পৌর নির্বাচনে থাকছে ৭৪ টি প্রতীক। এর মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৪০টি, তাদের প্রতীকগুলো থাকবে, এর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ১২টি যোগ হবে, অর্থাৎ মেয়র প্রার্থীদের জন্য প্রতীক থাকছে ৫২টি।
এর সঙ্গে সাধারণ কাউন্সিলরের জন্য ১২টি এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলরের জন্য ১০টি প্রতীক বরাদ্দ রেখেছে নির্বাচন কমিশন।
নৌকা, ধানের শীষ, লাঙ্গলের মতো পরিচিত প্রতীকগুলোর সঙ্গে সব মিলিয়ে ৭৪টি প্রতীক রাখা হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ২৩৫ পৌরসভায় নির্বাচনের জন্য।
তিনটি পদে নির্ধারিত সংখ্যার বেশি প্রার্থী হলে অতিরিক্ত প্রতীক দেওয়া হবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা বলেন, সংসদ নির্বাচনে দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ৬৫টি প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচনেই এখন সবচেয়ে বেশি প্রতীক ব্যবহার হবে।
দলভিত্তিক স্থানীয় নির্বাচন হওয়ায় ৪০টি দলীয় প্রতীক নিয়ে এখন সিটি, পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদে প্রতীক হবে ৭৪টি করে এবং উপজেলায় এ সংখ্যা দাঁড়াবে ৮৬টিতে।
পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে বুধবার পরিপত্র দিয়েছে ইসি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারই শেষ হচ্ছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই হবে।
বাছাইয়ে যারা বাতিল হবে তাদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে জেলা পর্যায়ের আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে।
বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় রয়েছে ১৩ ডিসেম্বর। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতীক পাবে ১৪ ডিসেম্বর, সেদিনই আনুষ্ঠানিক প্রচারের সুযোগ পাবে তারা।
নির্বাচন কমিশনার মো. জাবেদ আলী বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা চাই সব দলই ভোটে আসুক। সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
“কোনো দল বা ব্যক্তি বিশেষ নয়, আমাদের কাছে সবাই প্রার্থী, তাদের অসুবিধা দেখব।”
সবার অংশগ্রহণ চাইলেও এ পর্যন্ত ২২টি দল তাদের প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে, ক’টি দল অংশ নিচ্ছে। ১৩ ডিসেম্বরের পর কারা ভোটে থাকল, তাও নিশ্চিত হবে।
বুধবার রাতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দলের মতামত ছাড়া বিধিমালা প্রণয়ন এবং ভোট না পেছানোয় পৌর নির্বাচন বর্জন করেছে দলটি।
৩ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ