শনিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৬:০১:০৬

১৩ ডিসেম্বরের পর বিএনপির সিদ্ধান্ত

১৩ ডিসেম্বরের পর বিএনপির সিদ্ধান্ত

নিউজ ডেস্ক : বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিপাকে আছে বিএনপিও। নির্বাচনী কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দলটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে তারা বিদ্রোহীদের বোঝানোর চেষ্টা করবেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হবে। আর তাতেও কাজ না হলে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে যাবেন তারা। জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে কতগুলো আসনে ছাড় দেওয়া হবে তা এখনো পরিষ্কার করেনি বিএনপি। ৬ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে দলটি। একই সঙ্গে বিএনপির ডামি বা বিকল্প প্রার্থী বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে। প্রত্যয়ন পাওয়া প্রার্থীরা যাচাই-বাছাইয়ে টিকে গেলে ডামি প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলবে দলটি। বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এখন পর্যন্ত কেন্দ্রে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কোনো তালিকা আসেনি। আর যেহেতু ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় রয়েছে, সে পর্যন্ত তাদের বিদ্রোহী বলা যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যতটুকু শুনছি ২৫ জনের মতো ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী থাকতে পারেন। বাকিরা ডামি বা বিকল্প প্রার্থী। তাঁরা সময়মতো প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন। যারা দলের বিপক্ষে থেকে প্রার্থিতা বহাল রাখবেন, তাঁদের গঠনতন্ত্র মোতাবেক বহিষ্কার করা হবে।” তবে দলটির নির্বাচনী কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক নেতা জানান, মৌখিকভাবে পাওয়া বিদ্রোহীদের একটি খসড়া তালিকা তাদের কাছে রয়েছে। তাতে এখন পর্যন্ত ৫৫ থেকে ৬০ জনের নাম রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে দল ধীরগতিতে কাজ করবে। কাজটি মূলত ৬ ডিসেম্বরের পর শুরু হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ সিনিয়র নেতারা তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। পরে সতর্ক করে চিঠি দেবেন। এতে কাজ না হলে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে যাবেন তারা। বিএনপির ঢাকাবিষয়ক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, জামায়াতের বিষয়টি ৬ ডিসেম্বরের পরই নিষ্পত্তি হবে। জামায়াতের প্রার্থীরা যাচাই-বাছাইয়ে টিকে গেলে সেখানে বিএনপির প্রার্থীরা তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন। কতগুলো পৌরসভায় জামায়াত নির্বাচন করবে সে সিদ্ধান্ত দেবেন দলীয় প্রধান। জামায়াত তাদের মতো করে একটি তালিকা দিয়েছে। কোথায় কোথায় জামায়াতকে ছাড় দেওয়া যায়, তা নিয়ে কাজ করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। দলটির সহদপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম জানান, কেন্দ্র একটি মনিটরিং সেল খুলেছে। ওই সেল সার্বিক বিষয়গুলো মনিটর করবে। সংবাদ সম্মেলনে সাজেদুল ইসলাম সুমনের মা হাজেরা খাতুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেন এই ১৯ জনকে নিজের সন্তান মনে করে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেন। তিনি নির্দেশ দিলেই এই ১৯ জনের ফিরে আসা সম্ভব।’ -কালেরকণ্ঠ ০৫ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে