রবিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:০৬:৩৪

ক্ষমার অনন্য দৃষ্টান্ত খালেদার!

 ক্ষমার অনন্য দৃষ্টান্ত খালেদার!

ঢাকা : ২০০১ সালে খুলনা সফরকালে খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছিলো। সেই হামলায় অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর কামালকে শিবচর পৌর নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে ক্ষমার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। এভাবে পৌর নির্বাচনে উদার রাজনীতির অনন্য দৃষ্টান্ত দেখালেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। প্রত্যয়ন দেয়ার দ্বিতীয় দিনে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়। শুধু জাহাঙ্গীর কামাল নন। বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, বিএনপি নেতাকর্মী নিপীড়নকারী, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আঁতাতকারী, সংস্কারপন্থী এবং তাদের স্বজনদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ গুলশান কার্যালয়ে ক্ষোভ দেখিয়েছে নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজবাড়ী জেলার সংস্থারপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম তার ‘নাবালক’ সন্তানকে অর্ণব নেওয়াজ মাহামুদের মনোনয়নের ব্যবস্থা করেছেন। এমন অভিযোগকেও ছাপিয়ে গেছে মাদারীপুরে শিবচরের পৌর মনোনয়নের ক্ষেত্রে। ২০০১ সালে বিএনপি চেয়ারপারসনের খুলনা সফরের গাড়ি বহরে মাওয়া ঘাটে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় বিএনপি নেতা আ. মান্নান খান বাদী হয়ে বেশ কয়েকজনের নামে মামলা করেন। মামলার চার্জশিটের ১৫ নম্বর নাম জাহাঙ্গীর কামাল। স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে চার্জশিটভুক্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলমকে পৌর নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় রয়েছে মোটা অঙ্কের লেনদেনের অভিযোগ। জাহাঙ্গীর কামাল মনোনয়ন পাচ্ছেন এই খবরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের একটা অংশে প্রবল ক্ষোভ দেখায় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এসে। বেশ কয়েকজন গুলশান কার্যালয়ে সংবাদকর্মীদের কাছে চার্জশিটের ফটোকপি বিলি করেন। তার মধ্যে অন্যতম শিবচর বিএনপির সহ-সভাপতি পরিচয়দানকারী ইয়াজ্জেম হোসেন রুমান। তিনি বলেন, ‘সমালোচনার মুখে থাকা জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে মামলার বাদী আব্দুল মান্নান খান সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন। হয়তো মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তিনি তৃণমুল নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে চেয়ারপারসনের গাড়িতে হামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তার মনোনয়নের ব্যবস্থা করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দেয়ায় তার ভাতিজা পৌর বিএনপি নেতা, তিনিও ক্ষুব্ধ।’ তবে যাকে ঘিরে এতো সমালোচনা তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে মামলার কথা বলা হচ্ছে সেই মামলার বাদী আব্দুল মান্নান খান এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমি এ বিষয়ে জানি না। তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’ জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাপারে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক সদস্যের মতে, ‘যে কেউ ভুল করতেই পারে। ভুল করার পর ক্ষমা চেয়ে কেউ সঠিক পথে চলতে চাইলে তাকে সে সুযোগও দেয়া উচিৎ।’ ৬ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে