বুধবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:২৪:০৮

প্রতীক ছাড়াই প্রচারণা যুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

প্রতীক ছাড়াই প্রচারণা যুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

নিউজ ডেস্ক : ২৩৫টি পৌরসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে আজ থেকে ভোটযুদ্ধ শুরু হচ্ছে।দলীয় প্রার্থীরা প্রতীক মাঠে নামতে পারলেও স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের প্রতীক ছাড়াই প্রচারণায় নামতে হচ্ছে। প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষ হয়ে সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। ফলে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সিটি করপোরেশনের মেয়রদের প্রচারে অংশ নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সংসদ সদস্য। ফলে তারা প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। তবে সরকারি সুবিধাভোগী না হলে দলীয় প্রধানদের প্রচারণায় অংশ নিতে বাধা নেই। এ কারণে এ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রচারণা চালাতে পারবেন। চলতি বছরে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এবারও দেশের আটটি বিভাগের পৌরসভা নির্বাচনে খালেদা জিয়ার প্রচারণায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। পৌর নির্বাচনে ডিজিটাল প্রচারের সুযোগ পাচ্ছেন প্রার্থীরা। ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও ব্যানার, বিলবোর্ড ব্যবহার করা যাবে। টেলিভিশনসহ ইলেকট্রনিক মাধ্যমেও বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে। তবে নির্বাচনী ব্যয়সীমার মধ্যে থেকে প্রচার চালাতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রার্থীরা কোন খাতে কত টাকা খরচ করবেন তা মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করতে হবে। একই সঙ্গে মনোনয়নপত্রে গণমাধ্যমে প্রচারের সম্ভাব্য ব্যয় উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আচরণবিধিতে প্রচারের জন্য কাগজ, রেক্সিন, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমসহ অন্য যেকোনো মাধ্যমে প্রস্তুত প্রচারপত্র, প্রচারচিত্র, বিজ্ঞাপনচিত্র এবং যেকোনো ধরনের ব্যানার ও বিলবোর্ডের কথা উল্লেখ রয়েছে। আচরণবিধিতে আরো বলা হয়েছে, প্রার্থীর পোস্টার সাদা-কালো রঙের এবং আয়তন ২.৭ মিটার হতে হবে। নির্বাচনী প্রতীকের আকার, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা উচ্চতা কোনোভাবে তিন মিটারের বেশি হতে পারবে না। দলীয় প্রধানের ছবি ও প্রতীকসংবলিত পোস্টার ও লিফলেট প্রচারে ব্যবহার করতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে কোনো গেট বা তোরণ নির্মাণ, ৩৬ বর্গমিটারের বেশি স্থান নিয়ে প্যান্ডেল বা ক্যাম্প করা যাবে না। ক্যাম্পের ভেতরে টেলিভিশন বা প্রচারযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তি ছাড়া সবাই প্রচারণা চালাতে পারবেন। তিনি দলীয় প্রধান হোন বা সাধারণ মানুষ, কোনো সমস্যা নেই। তবে বিশাল বহর নিয়ে মিছিল, শোভাযাত্রা বা কোনো ধরনের শোডাউন করা যাবে না। এমপিদের নির্বাচনী প্রচারণায় না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এরই মধ্যে অনেকে এলাকায় যাচ্ছেন। যদিও কারো বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসেনি। আশা করি তাঁরা আইন ভাঙবেন না। এমন কিছু করবেন না যাতে আমরা অপ্রস্তুত ও বিব্রত হয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হই।’ ৯ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে