বুধবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৫:০৮:০২

‌‘মোড়ক ব্যবহার নিশ্চিত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র’

 ‌‘মোড়ক ব্যবহার নিশ্চিত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র’

ঢাকা : ছয়টি পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে ব্যাংকঋণ সুবিধা দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি। তিনি বলেছেন, এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চাতাল মিল মালিকরা পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়। আমদানি ও রফতানিকালে পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আইআরসি বা ইআরসি বাতিল করবে। মির্জা আজম বলেন, ছয়টি পণ্যে শতভাগ পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। গত ৩০ নভেম্বর থেকে সারাদেশে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ছয়টি পণ্যে শতভাগ পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র বলে জানান তিনি। বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ব্যবসায়ীদের উদ্দেেশ্যে বলেন, এ আইন বাস্তবায়নের সময় ছিল ২০১৪ সাল, কিন্তু সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ আইন বাস্তবায়নে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তৎপর রয়েছে। তিনি বলেন, অভিযান মনিটরিংয়ের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবদের সমন্বয়ে ১০টি পৃথক মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই মাসে যে পরিমাণ পাটের ব্যাগ বা বস্তার প্রয়োজন হবে তা এরই মধ্যে মজুদ রাখা হয়েছে। এসব সরবরাহ করবে রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান বিজেএসসি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড, ব্যাংকঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, আইআরসি বা ইআরসি বাতিলের বিধান রেখে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাস্তবায়নে সাঁড়াশি অভিযান চালু রয়েছে। পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এ অপরাধ পুনরায় করলে সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। আজ রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগের চৌধুরীপাড়া ও মালিবাগ রেলগেট বাজারের চালের আড়ৎগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলার নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মমিন উদ্দিন। এ সময় একটি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন। ৯ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে