বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৪:১৭:০৪

লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দ্রুতগতিতে পদ্মা সেতু নির্মাণ চলছে

লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দ্রুতগতিতে পদ্মা সেতু নির্মাণ চলছে

পার্থ সারথি দাস : শরীয়তপুর সদর থেকে পিচ করা সড়ক ধরে ৩২ কিলোমিটার গেলেই জাজিরা। সেখানে ঢুকতেই চোখে পড়ল পাথরবোঝাই ১৫টি ট্রাক সার বেঁধে ছুটছে। সকাল ১০টা বাজলেও তখনো পাতলা কুয়াশার আবরণে ঢাকা চরাচর। এর মধ্যেই হেঁটে খানিকটা এগোতেই দেখা মিলল পদ্মার, শান্ত জলরাশি বুকে নিয়ে দিগন্তজুড়ে ছড়িয়ে আছে। নদীর তীরে ও মাঝখানে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশি-বিদেশি শ্রমিকরা। নদীর বুকে পর পর তিনটি বড় ড্রেজার চোখে পড়ল। বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে সেখানে কাজ করছেন চীনা ক্রুরা। বালু তোলা হচ্ছে, কাদামাটি সরানো হচ্ছে। নদীপারে এক জায়গায় স্তূপ করে রাখা কংক্রিটের অসংখ্য ব্লক। নদীর মাঝখানে লাল-সাদা রঙের শতাধিক ক্রেন। বিশেষ পদ্ধতিতে নদীকে ৮০ ফুট গভীর করতে মাটি কাটছে বিশাল আকৃতির ড্রেজারগুলো। অন্য পাশে মাওয়ায় কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে কারখানা থেকে বের হচ্ছে একের পর এক পাইল। জাজিরার মতো সেখানে বসানো প্লান্ট থেকে বের হচ্ছে সারি সারি ব্লক। সব মিলিয়ে পদ্মার বুক ও এর দুই পাশে জাজিরা-মাওয়ায় এখন চলছে নির্মাণ উৎসব। আগামী শনিবার পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল সেতু ও নদীশাসনের কাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুর পাইলিং ও নদীশাসন কাজের উদ্বোধন হবে এদিন। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, উদ্বোধনের আগেই পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ২৭ শতাংশ। এর মধ্যে নদীশাসনের কাজ হয়েছে ১৪ শতাংশ, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি। মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের জানান, মাওয়া প্রান্ত থেকে দূরে পদ্মার ওপর ৭ নম্বর পিলারে পাইল ড্রাইভ করা হবে। মাওয়া ও জাজিরার মধ্যে পদ্মা নদীতে ৭ নম্বর পিলারে উদ্বোধন মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকাল ১১টায় জাজিরায় নদীশাসন কাজের উদ্বোধন করে ৭ নম্বর পিলারের সামনে দিয়ে মাওয়া যাবেন। তখন ৭ নম্বর পিলারসহ পাশের বিভিন্ন স্থানে ড্রাইভিং চলতে থাকবে। তা-ই দেখবেন প্রধানমন্ত্রী। মাওয়ায় ফলক উদ্বোধন করবেন তিনি। মূল সেতুর কাজ করছে চীনের চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি (এমবিইসি)। এমবিইসির প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, নদীর তলদেশে আছে দুর্বল পলিমাটি। পাইলিংয়ের সময় তলদেশের পলিমাটি হঠাৎ সরে গিয়ে ২০০-৩০০ মিটারের খাদ সৃষ্টি হতে পারে। তাই ৪০০ মিটার গভীরে নিয়ে যাওয়া হবে পাইল। নদীর গভীরতম স্থানে পাইল নিয়ে যেতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হ্যামার আনা হয়েছে জার্মানি থেকে। হ্যামার দিয়ে শুরু হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর পাইলিংয়ের কাজ। জাজিরা থেকে মাওয়ায় ফেরিতে চলতে চলতে দেখা গেছে, পদ্মার বুকে ভাসছে ১৩৭টি ক্রেন। মূল সেতুর কাজে ৯২টি ও নদীশাসনের জন্য আছে ৪৫টি ক্রেন। পদ্মার দুই পারে মাটিতে টেস্ট পাইলিং চলছে। নদীর বিভিন্ন স্থানেও চলছে পাইলিং। বোল্ড পাইলিংয়ের জন্য নদীর দুই পারে লোহার পাইপ জড়ো করা হয়েছে। পাইপ দিয়ে পাইলিংয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে জার্মানির দুটি হ্যামার। এর মধ্যে একটির ওজন আড়াই হাজার টন এবং অন্যটির ১০ হাজার টন। মাওয়ায় সরেজমিনে গিয়ে ফেব্রিকেশন ইয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, পেছন দিক থেকে প্লেট মেশিনে ঢুকছে আর তা গোল হয়ে পাইল আকারে রেললাইন ধরে নদীতীরে জমা হচ্ছে। সেখান থেকে তা জাহাজে করে, ক্রেনের সহায়তায় নদীতে নেওয়া হচ্ছে। প্রকৌশলীরা জানান, প্রতিটি পাইল ৩০০ ফুট লম্বা, ব্যাস ১০ ফুট। পাইলগুলো তৈরি করা হচ্ছে ৫০ মিলিমিটার পুরু স্টিলের শিট দিয়ে। পাইল বসানো হবে ২৬৪টি : ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে পদ্মা সেতু। মূল সেতু দাঁড়াবে ৪২টি পিলারের ওপর। সেতুর উভয় প্রান্তে তিন কিলোমিটার সংযোগ সেতুর ২৪টি পিলার হবে। মূল সেতুর ৪০টি পিলারে ছয়টি করে ২৪০টি এবং দুই পারের দুটিতে ১২টি করে ২৪টিসহ মোট ২৬৪টি পাইল করতে হবে। পাইল ড্রাইভিংয়ের মধ্য দিয়ে তার সূচনা করা হবে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে। নদীশাসন : প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, নদীশাসন করা হবে ১৩.৬ কিলোমিটার। মাওয়া অংশে ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার, জাজিরা অংশে হবে ১২ কিলোমিটার। চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন এ কাজ করছে। নদীশাসনে ব্যয় হবে আট হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। গত বছরের ১০ নভেম্বর এ জন্য সেতু বিভাগের সঙ্গে চীনা প্রতিষ্ঠানটির চুক্তি সই হয়েছে। এর পর থেকেই দুই প্রান্তে নদীশাসনের কাজ চলছে। খরস্রোতা পদ্মা শাসনে নেওয়া হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী জামিলুর রেজা চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানান, মাওয়ায় কাদামাটি বেশি, জাজিরায় পলিমাটি বেশি। কয়েক বছর পর পর পরিবর্তন আসে পানির মূলস্রোতের গতিপথে। নদীশাসনের জন্য বাঁধ দিতে দরকার হবে এক কোটি ৩০ লাখ ব্লক। পদ্মা সেতু তৈরিতে নদীশাসন কাজের জন্য ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে পাকুর পাথর আমদানি করা হবে। এসব পাথরের একেকটির ওজন এক টনের কাছাকাছি হবে। মাওয়া থেকে পশ্চিমে কবুতরখোলা পর্যন্ত নদীশাসনের উদ্দেশ্যে বাঁধ দেওয়া হবে। নদীশাসন হলে এ অংশ শুধু নয়, মাওয়া ও জাজিরার প্রায় ১৪ কিলোমিটার অংশে হাজার হাজার মানুষ ভাঙন থেকে রেহাই পাবে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণ গতি নদীশাসনে : শনিবার জাজিরায় নদীশাসন কাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৫ ডিসেম্বর থেকেই মূলত নদীশাসন কাজে আরো গতি আসবে। গত শনিবার দুপুরে জাজিরায় পদ্মাপারে গিয়ে দেখা গেছে, পর পর তিনটি ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশি ৯০০ ও চীনের ২০০ শ্রমিক এ কাজ করছেন। ১০টি প্লান্টে নদীশাসনের ব্লক তৈরি করা হচ্ছে পাথর, বালু ও সিমেন্ট ব্যবহার করে। এর মধ্যে জাজিরায় সাড়ে ৯ লাখ, মাওয়ায় সাড়ে তিন লাখ ও কাওড়াকান্দিতে ৬০ হাজার ব্লক তৈরি করে মজুদ করা হয়েছে। বিজে কম্পানি থেকে জিও ব্যাগ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব ব্যাগে বালু ভরে ফেলা হবে নদীতে। দুই পারের জন্য ২২ লাখ জিও ব্যাগের দরকার হবে। সিনো হাইড্রোর অধীনে বাংলাদেশ ও চীন মিলিয়ে ১২ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন কেবল ব্লক তৈরিতেই। একেকটি কারখানায় দিনে গড়ে তৈরি হচ্ছে তিন হাজার ব্লক। প্রকল্পের নিরাপত্তার স্বার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরামর্শে নদীতীরের ১৩০০ মিটার এলাকা জরুরি ভিত্তিতে রক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে জরুরি কাজে ১৩১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। মাওয়ায় কাদামাটি বেশি, জাজিরায় তা কম। জাজিরায় তাই নদী থেকে কাদামাটি কেটে সরানো হচ্ছে। ফেলা হচ্ছে ৮০০ কেজি ওজনের জিও ব্যাগ। জানা গেছে, নদীতীরের খাড়া অংশে, নদীর তলদেশে বালুভর্তি জিও ব্যাগ, পাথর যথাযথভাবে ফেলতে পাঁচজন ডুবুরি নিয়োগ করা হবে। ডুবুরিরা পানির নিচে নদীশাসন কাজের বিদ্যমান অবস্থা সম্পর্কে পরামর্শককে অবহিত করবেন। শেষ হয়েছে সংযোগ সড়কে তিন সেতুর কাজ : মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মেদেনীমণ্ডল ও কুমারভোগ ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে মাওয়া সংযোগ সড়ক। ঢাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার পার হলেই চোখে পড়ে সংযোগ সড়ক ও টোল প্লাজার ভিত্তি নির্মাণের কাজ। গত শুক্রবার ও শনিবার এ অংশ দিয়ে যাতায়াতের সময় মাটি সমান করার ও মাটি ফেলার কাজ চলতে দেখা গেছে। জাজিরার নাওডোবা ও মাদারীপুরের শিবচরের মধ্য দিয়ে সাড়ে ১০ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ চলছে। উভয় সংযোগ সড়কের কাজ করছে বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড ও মালয়েশিয়ার এইচসিএল কনস্ট্রাকশনস। জাজিরার নাওডোবা ও শিবচরে গিয়ে দেখা গেছে, সংযোগ সড়কের পাঁচটির মধ্যে তিনটির কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। শিকদারকান্দি, কুতুবপুর ও বড় কেশবপুরে এসব সেতু সবার নজর কেড়ে নেয়। গত শনিবার দুপুরে পশ্চিম নাওডোবায় গেলে সেখানে সেতুর কাজ চলতে দেখা যায়। প্রকল্প কর্মকর্তাদের হিসাবে, ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। মঙ্গলকান্দি গ্রামের শামসুদ্দিন মৌলভি সেতুর কাজ দেখতে দেখতেই বললেন, ‘আগে তো ভাবি নাই এত তাড়াতাড়ি কাজ হয়ে যাবে।’ একই গ্রামের শাহ ফরাজী প্রকল্পের জন্য জমি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। হারাতে হয়েছে বসতভিটাসহ দুই বিঘা জমি। বসতভিটা হারানোর পর ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন। সেতুর কাজ দেখতে দেখতেই বললেন, ‘আর ফেরিতে চলতে হবে না।’ ঘুরে দেখা গেল সংযোগ সড়কের ২০টি কালভার্টের মধ্যে ১৯টির কাজই শেষ হয়েছে। আরেকটির কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। আন্ডারপাসের কাজও শেষ হয়েছে। তদারকিতে ড্রোন ব্যবহার : মূল সেতুর টেস্ট পাইলিং শুরু হয়েছে আগেই। সংযোগ সড়কের কাজও শেষের পথে। মূল সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমবিইসি ও উভয় প্রান্তে সংযোগ সড়ক নির্মাণের ঠিকাদার আবদুল মোনেম গ্রুপ ড্রোন ব্যবহার করছে। মূল সেতুর নির্মাণকাজে যুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের জানান, একটি পাইল সর্বোচ্চ চার মিলিমিটার এদিক-সেদিক হতে পারে। তাই সূক্ষ্মভাবে দূরত্ব নির্ণয় করতে হয়। খরস্রোতা নদীতে পাইলিং আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ক্যামেরা বসানো ড্রোনের মাধ্যমে ছবি তুলে তা থেকে পাইল বসানোর স্থান নির্ধারণ করা হচ্ছে। এমবিইসির ব্যবহার করা ছোট আকারের ড্রোনে অত্যাধুনিক ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এই ক্যামেরার মাধ্যমে মাওয়া থেকে কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ফড়িং আকৃতির দুই ফুট দীর্ঘ ও দুই ফুট প্রস্থ ড্রোনটিতে পাখা আছে চারটি। নির্মাণকাজের স্থির ও ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে তার মাধ্যমে। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর ৯৯ ব্রিগেডের ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রকল্প এলাকায় ঘন ঘন যাচ্ছেন। প্রকল্প পরিচালকসহ অন্য কর্মকর্তারাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২০১৮ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আমরা দ্রুত কাজ করছি। রাতদিন প্রকল্প এলাকায় যেতে হচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি : মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি মো. মাসুদ খান জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মাওয়ায় বানানো মঞ্চ এলাকা গতকাল বুধবার পরিদর্শন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর কাজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ সরকার কঠিন চ্যালেঞ্জটি অতিক্রম করতে যাচ্ছে। শনিবার সেতুর কাজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, শনিবার সকালে জাজিরা পয়েন্টে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর নদীশাসনের কাজ উদ্বোধন করবেন। এরপর তিনি সেখানে সংক্ষিপ্ত সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। সেখান থেকে নৌপথে তিনি মাওয়ায় পৌঁছবেন। দুপুর ১২টায় তিনি মাওয়া চৌরাস্তার কাছে পদ্মা সেতুর মূল কাজের ফলক উন্মোচন করবেন। সেখানেও সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন তিনি। বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী মাওয়া চৌরাস্তা থেকে দক্ষিণে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে জনসমাবেশে বক্তব্য দেবেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী গতকাল শ্রীনগর উপজেলার দেগাছি পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়ায় সভাকক্ষে বৈঠক করেন। মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদলের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা, পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হালিম প্রমুখ। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। -কালেরকণ্ঠ ১০ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে