মৃত্যুদণ্ড বাতিল, মুক্তিতে বাধা নেই
ঢাকা : তোফায়েল আহমেদ যোসেফ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রায় ২০ বছর ধরে বন্দী থাকায় এরই মধ্যে কারাদণ্ড ভোগও সম্পন্ন হওয়ায় যোসেফের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। যোসেফ বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমদের ছোট ভাই
কারাগারের পরিবর্তে যোসেফ দীর্ঘ দিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে আছেন। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে এখান থেকেই তিনি মুক্তি পাবেন বলে জানা গেছে।
বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ ফ্রিডম পার্টির নেতা মোস্তফা হত্যা মামলায় যোসেফের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে রায় দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
মোস্তফা হত্যা মামলায় অপর আসামি যাবজ্জীবন সাজার আদেশ পাওয়া কাবিল সরকাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ৭ মে খুন হন মোস্তফা। ওই ঘটনার পরপরই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন যোসেফ ও তার সহযোগী কাবিল সরকার।
২০০৪ সালের ২৫ মে নিম্ন আদালত এই মামলায় যোসেফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে তার ভাই হারিস ও দুই সহযোগি কাবিল এবং আনিসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে কারাগারে থাকা আসামীরা জেল আপিল করে। ২০০৭ সালে ওই আপিল ও ডেথরেফারেন্সের শুনানি শেষে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
এরপর আপিল বিভাগে আসে মামলটি। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বুধবার জোসেফের যাবজ্জীবন এবং অন্য আসামী কাবিল সরকারকে খালাস দেন।
আসামীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আইনগতভাবেই যোসেফের যাবজ্জীবন (১৪ বছর) সাজা খাটা হয়ে গেছে। তাই এখন তার কারামুক্তি পেতে কোনো বাধা নেই।
যোসেফের পিতা ওয়াদুদ আহমেদ ছিলেন বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা। যোসেফ ভাইদের মধ্যে সবার ছোট। তার আরেক ভাই হারিস আহমেদের নামও রয়েছে পুলিশের শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়। হারিস বর্তমানে ভারতে পালিয়ে আছেন। তার আরেক ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
যোসেফ বড় ভাই মেজর জেনারেল আজিজ আহমদ বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক।
জোসেফ এক সময় ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়ে পুরো মোহাম্মদপুর এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন।
৯ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ