বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০২:৪৩:৫৬

প্রুফ রিডার থেকে জিএম, গাড়ি হাঁকায় ৩ টি!

প্রুফ রিডার থেকে জিএম, গাড়ি হাঁকায় ৩ টি!

নিউজ ডেস্ক : ক্ষমতার অপব্যবহার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকটির এক কর্মকর্তার দাপটে তটস্থ অনেকে। প্রুফ রিডার থেকে জিএম হওয়া এ এফ এম আসাদুজ্জামানের (জিএম প্রটৌকল) দাপটে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। ৩০ ডিসেম্বর তার অবসরে যাওয়ার কথা থাকলেও আবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে তদবিরে নেমেছেন তিনি। ব্যাংকের গভর্নরের দোহাই দিয়ে তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। অথচ তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ব্যাংকের অনেকেই চান না। কিন্তু হাল ছাড়েননি এ এফ এম আসাদুজ্জামান। অবসরে যাওয়ার আগেই তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে উঠেপড়ে লেগেছেন। যে করেই হোক নিয়োগ যে তার পেতেই হবে। এমন অভিযোগ বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে এ এফ এম আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিস্তর অনৈতিক লেনদেনের। সরকারি জ্বালানি অপচয় করে তিনি ব্যাংকের তিন তিনটি গাড়ি ব্যবহারও করছেন। তিনি বিদেশে সফরে থাকাকালীন তার পরিবার নিয়মিত সেই তিনটি গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন। সুবিধাবাদী ওই ব্যাংক কর্মকর্তার দাপটে ব্যাংকের কেউ টু শব্দ করতে পারেন না। এতে সরকারের জ্বালানি বাবদ লাখ লাখ টাকা গচ্চা যাচ্ছে। গাড়ি সংকটে অন্যান্য কর্মকর্তারা ঠিকমত অফিস ও বাসায় যেতে পারছেন না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, শুনেছি তিনি নাকি আবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। গভর্নর স্যারের কাছের লোক হলে তো অসম্ভব কিছু না। তিনটি গাড়ি হাঁকালে তো জ্বালানি অপচয় হবেই। জিএম প্রটৌকল আসাদুজ্জামানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ও অনিয়মের বিষয়ে জানতে অর্থসচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সদস্য মাহবুব আহমেদকে মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্যাংকিং সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভার সদস্য ড. আসলাম আলম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, জিএম প্রটৌকল আসাদুজ্জামান ৩০ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। সেই পদটিতে আবেদন উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। যোগ্যতা অনুযায়ী যে কেউ তাতে আবেদন করতে পারবে। তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টি আমার জানা নেই। ৩ টি সরকারি গাড়ি হাঁকানোর বিষয়ে তিনি বলেন, যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তবে তা বিধি লঙ্ঘন। কি করে তিনি এমন কাজ করছেন তা আমার বোধগম্য নয়। আগামী শুক্রবার হবিগঞ্জে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে এ এফ এম আসাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে