চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গতকাল বুধবারই নাম উঠে এসেছিল চিত্রনায়িকা শিমলার। ছিনতাইকারী মাহাদী ওরফে মাহাবী ওরফে পলাশের সঙ্গে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই নায়িকার বিয়ে হয়েছিল। ময়ূরপঙ্খী বিমানটির ক্রুদের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, শিমলার ওপর রাগ করেই নাকি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন পলাশ। আসলে কী ছিল শিমলার সঙ্গে তার সম্পর্ক?
চিত্রনায়িকা শিমলা হলো 'অবাধ্য সন্তান' পলাশের দ্বিতীয় স্ত্রী। ২০১৮ সালের ৩ মার্চ তাদের বিয়ে হয়। এর আগে মেঘলা নামে বগুড়ার এক মেয়ের সঙ্গে পলাশের প্রথম বিয়ে হয়। সেই স্ত্রীর সঙ্গেও তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। প্রথম স্ত্রীর ঘরে পলাশের একটি ছেলে রয়েছে বলে জানা গেছে। বেপরোয়া জীবনে অভ্যস্ত পলাশ ২০১২ সালে ১৮ বছর বয়সে একটি অপহরণ মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বাড়ির সঙ্গেও তার সম্পর্ক ভালো ছিল না। নিজের 'অপহরণ ঘটনা' সাজিয়ে টাকা আদায়ের ঘটনাও ঘটিয়েছিলেন।
এদিকে গণমাধ্যমে আজ সোমবার নায়িকা শিমলা এসব ঘটনা স্বীকার করেছেন। চলচ্চিত্র পরিচালক রাশিদ পলাশের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে পলাশের সঙ্গে তার পরিচয় হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। ডিভোর্সের কারণ হিসেবে শিমলা পলাশের 'মানসিক সমস্যা'র কথা জানিয়েছেন। গত নভেম্বরের ৬ তারিখে শিমলা তাকে ডিভোর্স দেন। তালাকের কারণ হিসেবে 'দাম্পত্যজীবনে সুখী হতে না পারা', 'মনের অমিল', 'বনিবনা না হওয়া', 'পারিবারিক অশান্তি' এবং 'মানসিক নির্যাতন' এর কথা উল্লেখ করেছেন এই চিত্রনায়িকা।
এই মুহূর্তে শিমলা ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনার বিষয়েও তিনি অবগত। এই ঘটনাকে দেশের জন্য 'দুঃখজনক' বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন শিমলা। এদিকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জীবনের শেষ দিকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছিলেন পলাশ।