বিমান উড়িয়ে দিয়ে চিত্রনায়িকা সিমলার প্রতি ‘ভালোবাসার নজির’ স্থাপন করতে চেয়েছিলেন মাহাদী ওরফে মাজিদুল ওরফে পলাশ! ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ বিজি-১৪৭ ফ্লাইটি উড্ডয়ন করে মাঝ আকাশে, তখন এক যুবক দৌঁড়ে এসে ক্রু সাগরকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে জিম্মি করে।
তখন ক্রু সাগর জানতে চান কেন তিনি (ওই যুবক) এমনটি করছেন। তখন ওই যুবক সাগরকে বলেন, নায়িকা সিমলার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন। সিমলাকে ভালবাসতেন তিনি। সিমলা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। রাত কাটান। এটি তিনি মানতে পারছেন না। তিনি এর বিচার প্রধানমন্ত্রীকে দিতে চান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই মিনিট কথা বলতে চান। সিমলার সঙ্গে কথা বলতে চান।
এক পর্যায়ে ক্রু সাগরের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন জিম্মিকারী যুবক। এরপর তিনি মোবাইল ফোনে (সিমলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠা সেই ব্যক্তির সঙ্গে ) কথা বলেন।
এ সময় জিম্মিকারী যুবক অন্য প্রান্তে যার সঙ্গে কথা বলছেন তাকে বলতে শোনা যায়, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই মিনিট কথা বলার সুযোগ করে দিন। ‘স্ত্রী’ সিমলার সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করে দিন।’
জিম্মিদশায় থাকা কেবিন ক্রু সাগরের উদ্ধৃতি দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবন্দরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কথা বলার ফাঁকেই একাধিকবার সাগরকে গুলি করার হুমকি দেন জিম্মিকারী যুবক। শার্ট উল্টে বুকের মধ্যে বোমাসদৃশ বেল্ট বেঁধে রাখার দৃশ্য দেখান। ককপিটে যেতে না দিলে বিস্ফোরণের মাধ্যমে উড়োজাহাজ উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন।
এ সময় ক্রু সাগর জিম্মিকারী যুবককে বলেন, একটি মেয়ের জন্য আপনি কেন এমন করছেন। একটি উড়োজাহাজ উড়িয়ে দেয়ার মতো ঘটনা কেন ঘটাতে চাচ্ছেন। দেশে কী মেয়ের অভাব আছে।
তখন উত্তরে জিম্মিকারী যুবক বলেন, তিনি সিমলাকে ভালোবাসেন। ভালোবাসার নজির রাখতে চান এই ঘটনার মধ্যদিয়ে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে প্রথম বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে ইতিহাস রচনা করতে চান।