মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, ০১:১৫:২৯

প্রবাসীদের সবসময় সম্মানের চোখে দেখি: প্রধানমন্ত্রী

প্রবাসীদের সবসময় সম্মানের চোখে দেখি: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কারণে অনেকেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলো।মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে এনআরবি প্রকৌশলীদের সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শুধু সরকারের পক্ষে বিশাল জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন করা সম্ভব নয়, এজন্য বিদ্যুৎ ও  হাসপাতালসহ অনেক বিষয় বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছিলো। আওয়ামী লীগ সবসময় দেশের উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেয়।

প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগান। নিজ গ্রামের উন্নয়নে এগিয়ে আসুন। আমাদের প্রবাসীরা প্রতিটি আন্দোলন, সংগ্রাম মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সকল আন্দোলনে প্রবাসীরা একটি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। প্রবাসীদের অবদান আমাদের দেশে রয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রবাসীদের অর্থ দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখে। সেদিক থেকে প্রবাসীদের সবসময় সম্মানের চোখে দেখি। দেশে পরিকল্পিত বিনিয়োগ করতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা খুব মেধাবী তাদের জন্য ডিজিটাল সেন্টার তৈরি করে দিয়েছি। আমরা শুধু বিদেশে খাদ্য পণ্য রপ্তানি করছি না, দেশে উৎপাদনের সাথে সাথে বিতরণও করছি। আমাদের এখন মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমার বাড়ি আমার খামার, খাদ্য চাহিদা যেনো ব্যাপক হয়। এই প্রকল্পে আমরা ব্যপক কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু দৃশ্যমান, কর্ণফুলী ট্যানেলের খনন কাজের উদ্বোধন করেছি। যাতে ঢাকার সাথে সমস্ত দেশের যোগাযোগ যেনো দ্রুত হয় সেই ব্যবস্থা করছি। দ্রুতগামী রেলও ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছে বাংলাদেশের অসংখ্য প্রকৌশলী। তাদের অনেকে বড় কোম্পানিতে গুরু দায়িত্বে রয়েছেন। কেউবা বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বা শিক্ষকতা করছেন। কেউ করছেন ব্যবসা। এ মেধাবী প্রকৌশলীদের মাঝে অনেকে আছেন যারা বাংলাদেশের জন্য কিছু করছেন অথবা করতে চাচ্ছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনীতিক নীতিমালা আমরা প্রণয়ন করি। সেই নীতিমালায় আমরা জাতির পিতার নির্দেশিত ঠিক সংবিধান মোতাবেক বেসরকারিখাতকে আমরা বেশি গুরুত্ব দেই। একটা কথা মনে রাখতে হবে একটা জিনিসের দিকে তাকিয়ে থেকে চলতে পারে না। রপ্তানিকে বহুমুখীকরণ করতে হবে। সারা দেশে ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে গেছে, হাইটেক পার্ক ও ডিজিটাল সেন্টারগুলোর সুফল পাচ্ছে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ। এতে দেশে বাড়ছে সাক্ষরতার হার।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে