মঙ্গলবার, ০৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:৪৩:১১

কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাত, নিহত ৭

 কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাত, নিহত ৭

ঢাকার আকাশে গতকাল ছিল রোদ ও মেঘের লুকোচুরি। কয়েকটি এলাকায় সকালে ঝড়-বৃষ্টিও হয়। তবে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতেই শুরু হয় বজ্রপাত ও তীব্র শিলাবৃষ্টি। এ সময় রাজধানীজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে প্রচ  বাতাস বয়ে যায়। এর আগে কয়েকদিন ধরেই রাজধানীতে থেমে থেমে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়। এদিকে, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, চাঁদপুর, ভোলার চরফ্যাশন ও নেত্রকোনায় কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাত ও বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। 

আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল সারা দিনে তারা ৫১.৮ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেন। আজও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হবে বলে আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছেন। তারা জানান, বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের বৃষ্টি পরিমাপক কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বিকাল ৩টা পর্যন্ত সীতাকুন্ডে  সর্বোচ্চ ৭০ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। রাজধানীতে সকালে হালকা বৃষ্টির সঙ্গে একদফা কালবৈশাখী বয়ে যায়। দুপুরে হালকা বৃষ্টি শেষে রোদের দেখা মিললেও বিকালে কালো মেঘে বদলে যায় আকাশের চেহারা। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় কালবৈশাখীর তা ব। এর সঙ্গে যুক্ত হয় শিলাবৃষ্টি। ভারি বৃষ্টিপাতে রাজধানীর মিরপুর, ভাটারা, মহাখালী, ফার্মগেট ও বিজয় সরণিসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। প্রধান সড়কে পানি জমে যাওয়ায় সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। পথচারীদের অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে তীব্র ভোগান্তির শিকার হন। 

এ সময় বেশ কয়েকটি এলাকায় বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে যায় এবং বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যায়। আবহাওয়াবিদরা জানান, কালবৈশাখীর এই সময় সাধারণত থেমে থেমে ঝড়-বৃষ্টি হয়। ১৪ এপ্রিলের পর এই প্রবণতা হয়তো কিছুটা কমে যাবে। সে সময় তাপমাত্রাও বেড়ে যাবে। তবে এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে কালবৈশাখী কিছুটা বেশি হচ্ছে। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে