বুধবার, ১৫ মে, ২০১৯, ১২:৩৯:৫৫

খুব শ্রীঘ্রই আঘাত হানতে চলেছে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু’!

 খুব শ্রীঘ্রই আঘাত হানতে চলেছে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু’!

নিউজ ডেস্ক : এ মাসেই ছোবল দিতে পারে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়। নামও ঠিকঠাক। এবার ঝড়টির নাম হবে ‘বায়ু’। নামটি ভারতেরই দেওয়া। মে মাসে বঙ্গোপসাগরে আরো দুটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বলে এরই মধ্যে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দুটি নিম্নচাপের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় মাথাচাড়া দিতে পারে। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড়টি কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ বলেন, এ মাসে দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত দুই থেকে তিন দিন মাঝারি ও তীব্র বজ্র ঝড় বা কালবৈশাখী হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র তিন-চার দিন হালকা থেকে মাঝারি কালবৈশাখী হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র দাবদাহ হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নির্ণয়ের রাডার অচল: ঝড়ের অবস্থান কোথায়, তা জানার জন্য রংপুরে বসানো রাডারটি এক বছর ধরে অচল হয়ে আছে। ১৯৯৯ সালে বসানো রাডারটির আয়ুষ্কালও শেষ। অন্যদিকে ঢাকার আইডিবি ভবনের ওপরে বসানো রাডারটির আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে যাওয়ায় এর তেমন কার্যকারিতা নেই। ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য সারা দেশে বসানো পাঁচটি রাডারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটির সর্বশেষ এই হাল। একেকটি রাডার সাড়ে ৪০০ কিলোমিটার এলাকা কাভার করে। ফলে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণীর অবস্থান ও গতিপথ নির্ণয় করতে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছিল আবহাওয়া অফিসের কর্তাদের। মৌলভীবাজার,খেপুপাড়া ও কক্সবাজারে বাকি তিনটি রাডার মোটামুটি সচল আছে। এই তিনটি রাডারের সাহায্যে মূলত এখন ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান ও গতিপথ ঠিক করে আবহাওয়া অফিস; যদিও রাডারের পাশাপাশি স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে আবহাওয়া ও ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ তথ্য সরবরাহ করে থাকেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।

এদিকে আবহাওয়ার নির্ভুল পূর্বাভাস পেতে সারা দেশে ২০০টি উপজেলায় স্টেশন বসানোর কাজও চলছে ধীরগতিতে। সারা দেশে এখন আবহাওয়া স্টেশন আছে মাত্র ৪৩টি। ফলে এই ৪৩টি স্টেশনের বাইরে অন্য কোথাও বৃষ্টি হলে কিংবা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে তা বলতে পারছে না আবহাওয়া অফিস। এমন বাস্তবতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে দেশের ২০০টি উপজেলায় স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া স্টেশন,৬৫টি স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টিমাপক যন্ত্র কেনার প্রকল্পটি অনুমোদন পায় ২০১৭ সালে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। ফলে সীমাবদ্ধ প্রযুক্তি নিয়ে আবহাওয়া অফিসকে ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিতে হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে