মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০১৯, ১২:২২:১৩

৮০টি নাটের জায়গায় রয়েছে ৩৫টি, দেয়া হয়েছে বাঁশ

৮০টি নাটের জায়গায় রয়েছে ৩৫টি, দেয়া হয়েছে বাঁশ

নিউজ ডেস্ক : রেললাইনের স্লিপার যাতে খুলে না যায় সেজন্য বাঁশ দিয়ে পেরেক মেরে আটকানো হয়েছে। ঢাকা-সিলেট রেলপথের হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পশ্চিমে একটি ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতু রয়েছে। এই সেতুর ওপরে স্লিপারগুলোকে আটকে রাখতে একাধিক বাঁশ দিয়ে পেরেক মারা হয়েছে। কিন্তু এই বাঁশ কাঠামোগতভাবে কতটা শক্ত? প্রশ্ন উঠেছে। 

একই এলাকা থেকে আসা একটি ভিডিও-তে দেখা যায়, অল্প বয়সী দুটি ছেলে রেললাইনের বেহাল দশা দেখাচ্ছে। এরইমধ্যে ট্রেন চলে আসলে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাদের 'আল্লাহ আল্লাহ' বলতে শোনা যায়। ভিডিও-তে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল, ট্রেন যাওয়ার সময় লাইনের দুই পাতের সংযোগস্থলটি ভয়ংকরভাবে ওঠা-নামা করছিল। ট্রেন চলে যাওয়ার পর দেখা গেলো সংযোগ স্থাপনকারী নাটগুলো ঢিলে হয়ে গেছে। একটি নাট রীতিমতো অসুপস্থিত ছিল আগে থেকেই। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে তুমুল ঝড় বইছে। ছবিতে উল্লেখিত সেতুটির অবস্থান শায়েস্তাগঞ্জ, বড়চর ও কদমতলীর দুই সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে। 

জানা গেছে, সেতুটিতে সর্বমোট ৪০টি স্লিপার রয়েছে। তার মধ্যে ১৫ টি স্লিপার পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। যেকোনো সময় নষ্ট স্লিপারগুলো ভেঙে আকস্মিক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ৪০টি স্লিপারের উভয় পাশে রেল ট্র্যাকের সাথে ৪০টি করে মোট ৮০টি নাট সংযুক্ত থাকার কথা। কিন্তু সেখানে নাট রয়েছে মাত্র ৩৫টি। অর্থাৎ ৪৫টি স্লিপারে কোনো ধরনের নাট নেই। যার কারণে ট্রেন যখন আসা যাওয়া করে তখন প্রায় সময়ই ওই স্লিপারগুলো একে অপরের সাথে জমে বিশাল ফাঁকা স্থানের সৃষ্টি করে। রেল শ্রমিকরা ওই জায়গায় বাঁশ বা কাঠ দ্বারা স্লিপারগুলোকে অস্থায়ীভাবে আটকিয়ে রেখেছেন। যা ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

স্বাভাবিকভাবেই সেতুটি ট্রেনের জন্য অত্যাধিক ঝুঁকিপূর্ণ। আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সেতুটি অতিশিগগির মেরামত জরুরি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে তরুণরা সোচ্চার। (সোশাল নেটওয়ার্কে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলো শেয়ার করেছেন নাজমুল হাসান নামের একজন)

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে