 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
নিউজ ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আজ বুধবার বিকেলে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এরই মধ্যে তার স্ট্যাটাসে ছয় হাজার নয়শজন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন এক হাজার দু'শ জনের বেশি। অনেকে সেই স্ট্যাটাস শেয়ারও করেছেন। তার সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- 
'ধরুন, 'গোটা সংস্কার আন্দোলন' নামক তথাকথিত নিরপেক্ষ প্লাটফর্ম, যার সদস্যগণ সকল অসংগতি, অন্যায়, অনাচারের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার। এখন, জনৈক নূরাহম্বক মিয়া উক্ত সংগঠনে যোগদান পূর্বক সকল কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করিয়া একটি পদ বাগাইয়া লইলেন। একদা ব্যক্তিগত বদখাসলত আর রিপুর তাড়নায় পড়িয়া রাস্তায় জনৈক রমনীকে ইভ টিজিং করিয়া বসিলেন। অতঃপর, পাবলিক গণধো'লাই দিয়া পুলিশে সোপর্দ করিলো।
এরপর যদি সকল গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়, 'ইভ'টিজিং করে গণধো'লাই খাইলেন গোটা সংস্কার আন্দোলনের অমুক। অথবা, বড় করে হেডলাইন হলো, ই'ভটিজারের সংগঠন 'গোটা সংস্কার আন্দোলন'/ ই'ভটিজারের আখড়া গোটা সংস্কার আন্দোলন!
এহেন অপকর্মের দায়ে যদি নূরাহম্বক মিয়াকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়, তার শাস্তি নিশ্চিত করতে নিজ সংগঠনের সদস্যরাই আওয়াজ তোলে, দলের পক্ষ থেকে এহেন অন্যায়কে নূন্যতম প্রশ্রয় দেয়া না হয় তবে ব্যক্তি নূরাহম্বকের অপকর্মের দায় পুরো সংগঠনের উপর কতটুকু বর্তায়? কেন একজন নূরাহম্বকের জন্য হাজারো 'গোটা সংস্কার আন্দোলন' কর্মী ই'ভিটিজার আখ্যা পাবে, মানুষের গালী খাবে??
ই'ভটিজিংকে বিন্দুমাত্র সমর্থন না দেয়া সংগঠনটির বিরোধী গোষ্ঠী যদি সব জেনে বুঝেও একজন নূরাহম্বকের অপকর্মকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থে যদি স্লোগান ধরে,
"ই'ভটিজারের পাহাড়াদার, গোটা আন্দোলন বাংলা ছাড়!", তাহলে বুঝতে হবে, উহাদের চুলকানির সাবজেক্ট ম্যাটার, ই'ভটিজিং বা নূরাহম্বক নয়, স্বয়ং গোটা সংস্কার আন্দোলন!'