শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯, ০৮:০৯:২৭

আমি মুখ খুললে কাদের সাহেবের রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে: বিদিশা

আমি মুখ খুললে কাদের সাহেবের রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে: বিদিশা

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাড়িতে খাবার না দেয়াসহ শারীরিক নি'র্যাতনের অ'ভিযোগ এনেছেন এরশাদপুত্র এরিক। এদিকে এরিক ও তার মা বিদিশাকে আ'ট'কে রাখার অ'ভিযোগ অস্বীকার করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সময়মতো সবকিছু জাতির সামনে পরিস্কার করা হবে। সকালে বনানীর দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এরিকের ফোন পেয়ে বারিধারায় সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্ম'দ এরশাদের বাসভবনে যাওয়ার পর এরিক ও তিনি অব'রুদ্ধ আছেন বলে অ'ভিযোগ করেন বিদিশা।

বিদিশার দাবি অনুযায়ী, গত তিন দিন ধরে বারিধারায় এরশাদের বাসভবন প্রেসিডেন্ট পার্কে সন্তান এরিককে নিয়ে অব'রুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন তিনি। ৫ম তলা থেকে টেলিফোনে সাংবাদিকদের তিনি জানান, কোনোক্রমেই এরিকের কাছ থেকে আলাদা করা যাবে না তাকে। এ সময় জা'পা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিষয়ে নানা তীর্যক মন্তব্য করেন তিনি।

টেলিফোনে বিদিশা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নিচে থেকে কোনো লোকজন কাউকে ভেতরে আসতে দিচ্ছে না। আমা'র লা'শ বের হয়ে গেলেও আমা'র ছে'লেকে নিয়ে কিছু হতে দিব না। আমি মুখ খুললে কাদের সাহেবের রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে।’

গণমাধ্যমের উপস্থিতির কথা জেনে নিচে নেমে আসেন এরিক এরশাদ। তার ভাষ্যমতে, শারীরিকভাবে লা'ঞ্ছিত করা হয়েছে তাকে। এমনকি নিয়মিত খাবার পান না বলেও অ'ভিযোগ করেন এরিক।

এরশাদ পুত্র এরিখ বলেন, ‘আমাদের আ'ট'কে রেখেছে। কাগজপত্র সাইন করিয়েছে। আব্বার অনেক জিনিস নিয়ে গেছে। বেরোতে পারছি না, বেরোলে আর ঢুকতে পারবো না এজন্য।’

শনিবার দুপুরে বিদিশার সিদ্দিকের কয়েকজন স্টাফ এসে তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখে যান প্রেসিডেন্ট পার্কে। এদিকে, দুপুরে জা'পা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, বিদিশা এবং এরিক আ'ট'কে রাখার অ'ভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

জিএম কাদের বলেন, আমি কোনো অ'ভিযোগ মেনে নিচ্ছি না। এবং আমি বিশ্বা'স করি দেশবাসীও আমা'র বি'রুদ্ধে এমন অ'ভিযোগ মেনে নেবেন না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সন্তান এরিকের ফোন পেয়ে প্রেসিডেন্ট পার্কে এলে তাকে অব'রুদ্ধ করে রাখা হয় বলে অ'ভিযোগ করেন এরশাদের সাবেক স্ত্রী' বিদিশা সিদ্দিক।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে