সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০১:৫৬:১০

৪৯তম মহান বিজয় দিবস আজ

৪৯তম মহান বিজয় দিবস আজ

নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযু'দ্ধে দেশের জন্য জী'বন দেয়া শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিস্তারিত কর্মসূচির সাথে পালন করা হবে ৪৯তম মহান বিজয় দিবস। খবর বাসসের।

নয় মাসের র'ক্তাক্ত' যু'দ্ধের পর ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানী হা'নাদার বাহিনীর আ'ত্মসম'র্পণের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশের অভ্যু'দয় ঘটে।দিবসটি উদযাপনে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশিরা দেশে ও বিদেশে দিবসটি পালন করবেন।

আজ ভোরে ৩১ বার তোপ'ধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযু'দ্ধ বিষয়কমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যু'দ্ধাহ'ত মুক্তিযো'দ্ধা ও বীর মুক্তিযো'দ্ধারা পুষ্প'স্তবক অর্পণ করবেন।

সরকারি এ ছুটির দিনে দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তো'লন করা হবে। ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোক'সজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রো'ড়পত্র প্রকাশ করবে। সেই সাথে সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিওতে মু'ক্তিযু'দ্ধের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে।

দিনের কর্মসূচি হিসেবে সকালে ঢাকাস্থ জাতীয় প্যারেড স্ক'য়ারে বর্ণাঢ্য কুচ'কাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। মু'ক্তিযো'দ্ধা এবং সশ'স্ত্র বাহিনী ও আইন'শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যরা এতে অংশ নেবেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত থাকবেন।দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
আজ বিকালে বঙ্গভবনে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনার আয়োজন করবেন রাষ্ট্রপতি।

বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনগুলো জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সংবর্ধনার আয়োজন করবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযো'দ্ধা ও শহী'দ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হবে।সুবি'ধাব'ঞ্চিত শিশুরা রাজধানীর শিশু পার্কে বিনা টিকিটে প্রবেশ করতে পারবে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্র'ম, হাসপাতাল, জেলখানা ও সরকারি শিশুসদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ইউনেসকো আগামী বছর যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’

তিনি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কা'লে দেশ, গণতন্ত্র ও সরকারবিরো'ধী সব ষ'ড়য'ন্ত্র প্রতিহ'ত করে মহান মুক্তিযু'দ্ধের চেতনায় উদ্বু'দ্ধ হয়ে ঐক্যব'দ্ধভাবে দেশের এ উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা র'ক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ বিজয় দিবসে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘লাখো শহীদের আ'ত্মত্যা'গের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সম্মিলিত প্রচে'ষ্টার বিকল্প নেই।’

‘তাই আসুন মুক্তিযু'দ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রাখি এবং দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেই। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হোক, মহান বিজয় দিবসে এ আমার প্রত্যাশা,’ বলেন তিনি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে