ফারিনার উপর ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি!
ঢাকা : পাকিস্তান দূতাবাসের কূটনীতিক ফারিনা আরশাদ গত এক বছর ধরে গোয়েন্দা সংস্থার পর্যবেক্ষণে ছিলেন। সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, ফারিনার সন্দেহজনক গতিবিধির জন্য তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম।
কর্মকর্তাটি আরো জানান, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফারিনা আরশাদের সাথে অন্যদের যোগাযোগে আড়িপেতে রেখেছিল এবং সেগুলো বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করেছিল।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে ফারিনা আরশাদের বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ পাওয়ার পর আমরা তাকে চলে যেতে বলি।
ফারিনা আরশাদ প্রায় তিন বছর ধরে বাংলাদেশে কাজ করছিলেন। পাকিস্তান তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বুধবার বাংলাদেশ ত্যাগ করেন তিনি।
সরকারের আরেক কর্মকর্তা জানান, পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরশাদের বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। এ ছাড়া, বাংলাদেশের একাধিক কর্মকর্তাকে পাকিস্তান জানিয়েছে আরশাদকে বাংলাদেশে অবাঞ্ছিত (পারসনা নন গ্র্যাটা) ঘোষণা করলে তারা এর প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানে একজন বাংলাদেশি কূটনীতিককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে পারে।
তিনি বলেন, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান চেয়েছিল পাকিস্তান। সেজন্য ফারিনাকে বাংলাদেশ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে চলে যেতে বলায় তাকে পাকিস্তান প্রত্যাহার করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে মৌখিকভাবে আরশাদকে প্রত্যাহারের দাবি জানালে পাকিস্তান সেটা মেনে নেয়।
এর আগে জানুয়ারিতে পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মাজহার খানকে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মাজহার খানকে জাল নোটসহ পুলিশ বনানী থেকে গ্রেফতার করে এবং তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণও ছিল। এরপর তাকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয় পাকিস্তান মিশনকে।
২৫ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ