ঈদে মিলাদুন্নবী, ‘জশনে জুলুস’ শোভাযাত্রা
ঢাকা : মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর জন্ম ও প্রয়াণের এই দিনে শুক্রবার সকালে ‘আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া’র অনুসারীদের আয়োজনে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বের হয় ‘জশনে জুলুস’।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে পল্টন-বিজয়নগর, কাকরাইল, মৎস্যভবন মোড় ঘুরে আবার উদ্যানে এসে শেষ হয় শোভাযাত্রা। আঞ্জুমানের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ আল-হাসানী এতে নেতৃত্ব দেন।
শোভাযাত্রা শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে বক্তারা ইসলামের নামে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
শোভাযাত্রার সময় হেলিকপ্টার থেকে জুলুসের ওপর ফুলের পাপড়ি ছড়ানো হয়। জমায়েত থেকে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন ভক্তরা।
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে জুমার পর হয়েছে বিশেষ দোয়া।
হিজরি সালের রবিউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখ (৫৭০ খ্রিস্টাব্দ) আরবে জন্ম নেন মুসলমানদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স.)। তার জন্মদিন বিশ্বের মুসলমানরা পালন করেন ঈদ-ই মিলাদুন্নবী হিসেবে।
ঈদ-ই মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, তৎকালীন আরব সমাজের অনাচার, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) স্থাপন করেছেন সত্য, সাম্যসহ ন্যায়ভিত্তিক সুন্দর সমাজব্যবস্থা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, পাপাচার, অত্যাচার, মিথ্যা, কুসংস্কার ও সংঘাত জর্জরিত পৃথিবীতে মানবতার মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন মহানবী (স.)। তিনি বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজগঠন এবং মানবকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন।
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় কলেমা লেখা পতাকার পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে অংশ নিয়েছেন হাজারও মানুষ।
২৫ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ