শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:০৭:২৩

রুকুতে ইমাম মুসল্লি, বিকট শব্দে বিস্ফােরণের পরপরই পালিয়ে যায় দুইজন

রুকুতে ইমাম মুসল্লি, বিকট শব্দে বিস্ফােরণের পরপরই পালিয়ে যায় দুইজন

রাজশাহী : বাগমারার ঘটনায় জড়িত ছিল তিনজন। এদের একজন নামাজ চলাকালীন আত্মঘাতী হামলা চালায় ও অপর দুইজন মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায় এমনই তথ্য জানা গেছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী। মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিদের কয়েকজন জানান, দ্বিতীয় রাকাত নামাজ শুরু হলে রুকুতে যাওয়ার সময় বোমাটি প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয়।এ সময় সবাই দিগবিদিক ছুটোছুটি শুরু করে। তখন পাশের একটি আহলে হাদিস মসজিদের মুসল্লিরা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে মসজিদ থেকে বাইরে নিয়ে আসে। বিস্ফোরণের পর পরই আক্রান্ত আহমদীয়া মসজিদের পাশে থেকে এক যুবককে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন তারা। পরে ওই গ্রাম সংলগ্ন চকপাড়া-সৈয়দপুর পাকা রাস্তায় অপেক্ষমাণ একটি মোটরসাইকেলে করে ওই যুবকসহ দুইজনকে দ্রুত চলে যেতে দেখেন মুসল্লিরা। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, হামলাকারীর কোমরে সুইসাইট বেল্ট পাওয়া গেছে। এ থেকে ধারণা করা যায় বোমাটি তার সাথেই বাঁধা ছিল। শুক্রবার রাতে পুলিশ আত্মঘাতীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে একটি মামলার প্রস্তুতিও চলছে বলে তিনি জানান। দুপুরে জুমার নামাজ আদায়কালে মচমইল চকপাড়া কাদিয়ানি জামে মসজিদে এ আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এতে মসজিদের ভেতরেই মৃত্যু হয় হামলাকারীর। আহত হন মুসল্লি ময়েজ তালুকদার (৪০), সাহেব আলী (৩৫) ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র নয়ন (১২)। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। তারা মসজিদ এলাকা ঘিরে ফেলে। এখনো মসজিদটি ও এর আশপাশের এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। বাগমারার মচমইল চকপাড়া গ্রামটি প্রত্যন্ত পল্লীতে। যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই নাজুক। এ এলাকায় বসবাস করে কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের কিছু লোকজন। মচমইল চকপাড়া কাদিয়ানি জামে মসজিদে তারা নামাজ আদায় করেন। বোমা হামলার সময় মসজিদে নামাজ আদায় করছিলেন ২৫ থেকে ৩০ জন মুসল্লি। ২৬ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে