শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:৪৫:২৯

সীমান্ত হ'ত্যায় বিএসএফকে দো'ষ দিয়ে লাভ নেই : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র

সীমান্ত হ'ত্যায় বিএসএফকে দো'ষ দিয়ে লাভ নেই : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গু'লি করে বাংলাদেশীদের হ'ত্যা বন্ধ করতে হলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের দো'ষ দিয়ে লাভ নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এক্ষেত্রে বাংলাদেশী নাগরিকদেই স'ত'র্ক হতে হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, "আসলে আমাদের চরিত্র যদি ভালো না হয় - পরের দোষ দিয়ে লাভ নেই।"

নওগাঁ জেলার পোরশা সীমান্তে গত ২২ জানুয়ারি ভারতীয় সীমান্ত র'ক্ষীদের হাতে তিনজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহ'ত হয়। যে সীমান্তে এ ঘটনা ঘটেছে সেখানে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার, যিনি খাদ্যমন্ত্রী। রাজশাহীর পবা উপজেলায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে সীমান্তে বিএসএফের গু'লিতে তার নির্বাচনী এলাকার তিন ব্যক্তির মৃ'ত্যুর প্রসঙ্গ তোলেন সাংবাদিকরা। জবাবে খাদ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এখানে দো'ষ বাংলাদেশী নাগরিকদেরই, সুতরাং সরকারের কিছুই করনীয় নেই।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন "আমরা গরুর বিট খুলতে দিবনা। আমাদের উপজেলায় রেজ্যুলুশন আছে, বিজিবি'র রেজ্যুলুশন আছে, জেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং-এ রেজ্যুলুশন আছে। তারপরেও কেউ যদি জো'র করে কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরু আনতে যায় আর ইন্ডিয়ার মধ্যে গু'লি খেয়ে মা'রা যায়, তার জন্য দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকার নেবে না।"

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষ'ম'তাসীন হবার পর ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১১ বছরে প্রায় সাড়ে তিনশ বাংলাদেশী নাগরিককে সীমান্তে গু'লি করে হ'ত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত-রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। অথচ উভয় দেশ গত ১০ বছর যাবত পরস্পরকে সবচেয়ে ভালো বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করছে। চলতি বছরের প্রথম ২৫ দিনেই প্রায় ১০ জন বাংলাদেশী বিএসএফ'র হাতে নিহ'ত হয়েছে।

বাংলাদেশের ভেতরে অনেকেই স'মালো'চনা করেন যে সীমান্ত হ'ত্যার বি'রু'দ্ধে সরকারের যতটা সরব হওয়া উচিত, ততটা তারা হচ্ছেনা। উল্টো বিভিন্ন সময় ক্ষ'ম'তাসীনদের সাথে সম্পৃক্ত কিংবা সরকারি কর্মকর্তারা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন, যাতে বাংলাদেশীদের দো'ষ বেশি - এমনটাই তুলে ধরা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মানবাধিকার কর্মী নুর খান লিটন বলেন, 'পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, কোনভাবেই সীমান্তে গু'লি করে হ'ত্যা করার বিষয়টি আইন অনুযায়ী একেবারেই যু'ক্তিসং'গত নয়।' বাংলাদেশ সরকার বরাবরই দাবি করে যে সীমান্ত হ'ত্যাকা'ণ্ড নিয়ে উ'দ্বে'গ এবং প্র'তিবা'দ ভারত সরকারের কাছে তুলে ধরা হয়। 

অন্যদিকে বিএসএফ বলে, সীমান্তে তাদের সদস্যরা আ'ক্রা'ন্ত হলেই কেবল গু'লি করে। বিএসএফ প্র'তিশ্রু'তি দিয়েছিল যে সীমান্ত হ'ত্যাকা'ন্ড তারা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করবে। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছুদিনের মধ্যে সীমান্তে বিএসএফের গু'লিতে মৃ'ত্যুর ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এটা স্পষ্ট যে সেই নীতি মেনে চলা হচ্ছে না। সূত্র : বিবিসি বাংলা

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে