রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০২:৫৯:২৭

সংঘাতের আশংকা ৫০০ কেন্দ্রে!

সংঘাতের আশংকা ৫০০ কেন্দ্রে!

কাজী জেবেল ও নাঈমুল করীম নাঈম : আসন্ন পৌর নির্বাচনে ভোটের দিন কমপক্ষে ৫০০ কেন্দ্রে সংঘর্ষের আশংকা করছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। বিজয় নিশ্চিত করতে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে পারেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দ্বিমুখী ও ত্রিমুখী সংঘর্ষ হতে পারে। এজন্য বড় দুই দলের প্রায় ১ হাজার ৭০০ সন্ত্রাসী নির্বাচনী মাঠে নামতে যাচ্ছে। এরাই ৩০ ডিসেম্বর বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাইসহ নানা ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন শেষ করতে কেন্দ্র দখল বা ব্যালট ছিনতাই হলেই ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেয়ার জন্য নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে ইসি। সরেজমিন প্রতিবেদন, ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। নির্বাচনে সহিংসতার আশংকা দেখছেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতার আশংকা নেই। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ করছে। পুরো বিষয়টি কমিশনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এমন কি ইসির অনুমতি ছাড়া পুলিশ বদলি বা অন্য কোনো ব্যবস্থাও নিতে পারছি না। স্থানীয় ভোটারদের মতে মূলত সংঘর্ষ হবে বড় দুই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কেন্দ্রগুলো ঘিরে। বিশেষ করে সরকারি দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের এলাকায় ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যেও সংঘাত হতে পারে। তবে তার মাত্রা হবে কম। কিন্তু যেসব কেন্দ্রে সরকারি দলের প্রার্থীর সঙ্গে বিএনপি প্রার্থীর সংঘাত হবে সেখানে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বেশিরভাগ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের সঙ্গে দ্বিমুখী সংঘর্ষ হবে। যেখানে নৌকা ও ধানের শীষের লড়াই হবে সেখানে আওয়ামী লীগের পক্ষ নিতে পারে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। সেক্ষেত্রে সংঘর্ষ হবে ত্রিমুখী। ৬৮টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সক্রিয়। এর মধ্যে অন্তত ৫০টি পৌরসভার ২৫০টির বেশি কেন্দ্রে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সহিংসতা হতে পারে। বিএনপির প্রার্থীর শক্ত অবস্থানের কারণে ৪৫টি পৌরসভার ১৫০টির বেশি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। এছাড়া ১০টির বেশি পৌরসভার শতাধিক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াত, জাসদসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা সাংঘর্ষিক অবস্থানে রয়েছেন। এছাড়াও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যেও সংঘর্ষ হতে পারে। বিভিন্ন পৌরসভায় কাউন্সিলর প্রার্থীরাও সাংঘর্ষিক অবস্থানে আছেন। যে কোনো সময়ে তারাও সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারেন বলে মনে করছেন ভোটাররা। স্থানীয় ভোটারদের মতে, বেশ কিছু এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের দুই প্রার্থীর (বিদ্রোহী ও নৌকা প্রতীক) মধ্যে টানটান উত্তেজনায় ভোট হবে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সঙ্গে আছে খোদ সরকার। আর বেশ কিছু বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে গোপনে আছেন প্রভাবশালী মন্ত্রী ও এমপি। এ কারণে ক্ষমতার পাল্লা কোনো দিকেই হালকা নয়। কাজেই কেন্দ্র দখল বা ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা কারও পক্ষেই খুব সহজ হবে না। স্থানীয় মন্ত্রী-এমপির কারণে নৌকা প্রতীকের পক্ষে স্থানীয় প্রশাসনও প্রকাশ্যে নামতে পারবে না। ফলে দু’জনের (বিদ্রোহী ও নৌকা প্রতীক) মধ্যেই নৌকার ভোট কাটাকাটি হবে। মাঝখান দিয়ে বিএনপি প্রার্থী ধানের শীষ নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে বলে তারা মনে করেন। স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ জানা গেছে, ভোট গ্রহণের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, নির্বাচনী এলাকাগুলোতে উত্তেজনা ততই বেড়েই চলছে। নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে বেশিরভাগ প্রার্থী আশপাশ এলাকার সন্ত্রাসী-মাস্তানদের গোপনে ভাড়া করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে তথ্য পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন পৌরসভায় সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। ভাড়াটে সন্ত্রাসীরাই এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে জানা গেছে। এদিকে ইসি সূত্র জানিয়েছে, পৌর নির্বাচনে সহিংসতার আশংকা প্রকাশ করে রিপোর্ট দিয়েছে দুই গোয়েন্দা সংস্থা। তারা ইসির কাছে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তঃকোন্দলের কারণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী (বিদ্রোহীসহ) একই পদে নির্বাচন করছেন। এ ধরনের বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষ হতে পারে বলে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে পৌরসভা নির্বাচনে ৩ হাজার ৪০৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ১৮৪টিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়েছে। এর অর্ধেকের কিছু কম কেন্দ্রে সংঘর্ষের আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ইসি প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড মাঠে নামছে। এছাড়া বিপুলসংখ্যক জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নেয়া রাজনীতিবিদরা গণতন্ত্রের মূল্যবোধ মেনে আচরণ করলে নির্বাচন ভালো হবে। এছাড়া সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। কেউ ওই নির্দেশ অম্যান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, সারা দেশে সহিংসতার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনও উদ্বিগ্ন। দুটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আইনশৃংখলা বাহিনীকে কঠোর হতে এবং প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তারা সংশয় প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়ায় সহিংসতার আশংকা বেশি। কোনো প্রার্থী ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলেই বিদ্রোহীসহ অন্য দলের প্রার্থীরা একজোট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করবে। এতেই ছোট ঘটনায় সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। তারা আরও জানান, বিভিন্ন পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে বলে ইসিতে বিস্তর অভিযোগ জমা হয়েছে। কয়েটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এ পর্যন্ত চারজন ওসি ও একটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা নির্বাচনে অনিয়মে সহায়তা করলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না বলেও মন্তব্য করেন তারা। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মাঠ পর্যায়ের যে অবস্থা দেখছি তাতে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মনে হয় না। ভোটের দিন বেশিরভাগ পৌরসভায় মারামারি, হানাহানি হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এখনও শক্ত হলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটবে। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তার ওপর সব ছেড়ে দিলে নির্বাচনে অনিয়মের দায় কমিশনকেই নিতে হবে। এছাড়া সরকারও ভাবমূর্তি সংকটে পড়বে। সূত্র আরও জানায়, শতাধিক পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীর শক্ত অবস্থান রয়েছে। তারা জানান, ইতিমধ্যে কেন্দ্র দখলের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন ক্ষমতাসীনরা। এ ক্ষেত্রে বিএনপির প্রার্থীরাও ছাড় দিতে নারাজ। সরকারি দলের প্রার্থীদের মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। এসব পৌরসভাতে যেকোনো মুহূর্তে সহিংসতার আশংকা করছেন ভোটাররা। এছাড়া কয়েকটি পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থীর মুখোমুখি বিএনপি প্রার্থী। জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান সোহেল তালুকদার ও বিদ্রোহী প্রার্থী আনিছুর রহমান তালুকদার একই স্থানে সভা ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জামালপুরের সরিষাবাড়ীসহ আরও কয়েকটি পৌরসভায় বিএনপি ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা চলছে। যুগান্তরের ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধিকাংশ পৌরসভাতেই নির্বাচনের দিন সংঘর্ষ হতে পারে। এর মধ্যে পটিয়ায় জাতীয় পার্টি বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হতে পারে। সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের আশংকা আছে। এছাড়া রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, সীতাকুণ্ড, বাঁশখালী ও মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌরসভায় নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জের ধরে একজন খুন হয়েছে। নিহত ব্যক্তিকে নিজেদের দাবি করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে। এর প্রভাব পড়তে পারে ভোটের দিন। চাঁদপুরের কচুয়া ও মতলবে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ এবং রায়পুরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। কুমিল্লার চান্দিনা ও লাকসামে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের, ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও নান্দাইলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হতে পারে। টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের আশংকা আছে। এ জেলার অন্য পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ অবস্থা রয়েছে। কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, হোসেনপুর ও বাজিতপুরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা রয়েছে। নরসিংদী পৌরসভায় নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়াতে পারে আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের তারাবো ও সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। মানিকগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাদারীপুরের কালকিনিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৪ জন প্রার্থী রয়েছে। এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। শরীয়তপুরের নড়িয়ায় শনিবার আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। ভোটের দিনও নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়াতে পারে আওয়ামী লীগ। জাজিরায়ও আওয়ামী লীগ-আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হতে পারে। নগরকান্দায় নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়াতে পারে আওয়ামী লীগ। কুষ্টিয়ার ভেড়ামাড়ায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাসদ, মেহেরপুরের গাংনী, যশোর, নওয়াপাড়া ও চৌগাছায় নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়াতে পারে আওয়ামী লীগ। এছাড়া ঝিনাইদহ, নড়াইল, যশোরের মণিরামপুর, সাতক্ষীরা ও কলারোয়ায় বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হতে পারে। বরগুনায় আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়াতে পারে। বরিশাল অঞ্চলে গত পৌর ও উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্র দখল ও ভোট ডাকাতির সময় কোনো পৌরসভাতেই বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে দেখা যায়নি। এবারের নির্বাচনেও এমনটি ঘটলে একই দৃশ্য দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নীলফামারীর জলঢাকায় জামায়াত-বিএনপি-আওয়ামী লীগের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হতে পারে। এছাড়া দিনাজপুর, বীরগঞ্জ, লালমনিরহাট, পাটগ্রাম, ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হতে পারে। রাজশাহীর কাটাখালীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াত, আড়ানী ও তানোরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির বিদ্রোহী, তাহেরপুরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংর্ঘষ হতে পারে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে পারে আওয়ামী লীগ। নাটোর সদরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি ও গোপালপুরে বিএনপির বিদ্রোহীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হতে পারে। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, পাবনার ভাঙ্গুড়া ও চাটমোহরে নিজেদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হতে পারে। এছাড়া নাটোরের গুরুদাসপুর ও পাবনার সদরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। -যুগান্তর ২৭ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে