নিউজ ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের সং'ক্র'মণ বেড়েই চলছে। আক্রা'ন্তের পাশাপাশি বাড়ছে 'মৃত্যু হারও। এ অবস্থায় পরি'স্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৫ মে (মঙ্গলবার) পর্যন্ত আরেকদফা সরকারি ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ছুটিকালীন করোনারো'ধে জনগণকে ঘরে অবস্থানে ক'ড়া নির্দে'শনা দিয়েছে সরকার।
দু'দিন পরেই (শনিবার) থেকে শুরু হচ্ছে মাহে রমজান। নিয়ম মতে প্রথম রোজার তারাবি পড়তে হবে আগেরদিন শুক্রবার দিবাগত রাতেই। করোনা সং'ক্র'মণ বাড়ছে -এমন সময়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে দেশের কওমি ঘরানা শীর্ষ আলেমরা ১৪শর্তে সুস্থ মুসল্লিদের মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ, জুমা, জামাতের পাশাপাশি তারাবি পড়ার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি প্রস্তাবনা জানিয়েছেন।
এ অবস্থায় মুসল্লিরা তারাবির নামাজ কোথায় পড়বেন? ঘরে নাকি মসজিদে। সরকারি নির্দে'শনা কী আছে, কওমি আলেমদের অনুরোধের বিষয়ে দেশের ধর্মীয় আলেমরা কী বলছেন খুটিনাটি সবকিছুই জানতে চান ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সরকার বলছে, করোনা পরি'স্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিদের মসজিদে নয়, ঘরেই তারাবি পড়তে হবে।
করোনা সং'ক্র'মণরো'ধ ও জনগণের সুর'ক্ষায় মসজিদের পরিবর্তে মুসল্লিদের ঘরে জুমা, জামাত পড়ার বিষয়ে আগ থেকে ধর্মমন্ত্রণালয়ের যে নির্দে'শনা রয়েছে সেটি বহাল রয়েছে। ওই নির্দে'শনা অনুযায়ী মুসল্লিদের তারাবি ঘরে পড়তে হবে। এর আগে (১৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই রোজার তারাবি ঘরে পড়ার জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারাবির বিষয়ে সরকারের কোনো নির্দে'শনা আছে কিনা জানতে চাইলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ বলেন, ধর্মমন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দে'শনা দেওয়া আছে তার বাইরে এ মুহূর্তে নতুন করে কোনো নির্দে'শনা নেই।
এ বিষয়ে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে নতুন করে কোনো নির্দে'শনা দেওয়া হবে না। আগের নির্দে'শনাই বহাল রয়েছে। মসজিদ আগের মতো খোলা থাকবে, একেবারে সীমিত নামাজ, তারাবি হবে। চাইলে খতম তারাবিও পড়া যাবে। তবে জুমার নামাজ এখন যেভাবে দশজন পড়ছেন ওইভাবেই পড়তে হবে। সং'ক্র'মণের ঝুঁ'কি বাড়িয়ে বাইরে থেকে কোন মুসল্লি মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে না। বরং মসজিদের পরিবর্তে মুসল্লিদের ঘরেই তারাবি পড়তে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরি'স্থিতিতে প্রাণঘা'তি মহামা'রি যেভাবে অ'গ্রসর হচ্ছে, মানুষ যে হা'রে আক্রা'ন্ত হচ্ছে এ অবস্থায় মসজিদে যাওয়া অত্যন্ত ঝু'কিপূ'র্ণ। এ অবস্থায় মুসল্লিদের নামাজ পড়তে দেওয়া হলে করোনা আক্রা'ন্ত কেউ মসজিদে ঢুকে পড়লে তাহলে তার দ্বারা অন্যদের জীবন ঝুঁ'কিতে পড়ে যাবে। তাই বর্তমান পরি'স্থিতিতে তারাবির নামাজ ঘরে পড়াই উত্তম।