নিউজ ডেস্ক : করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৈরি করা কিটের বিষয়ে খোঁজ নিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ফোন করেছেন ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাঈদ নামাকির উপদেষ্টা। রবিবার সকালে তাকে ফোন করা হয়।
রবিবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এসময় ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা ফোন করেছিলেন। নিজেদের উৎপাদিত একই রকমের কিট তারা প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যবহার করছে বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, ইরান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মতো একই জাতীয় কিট উদ্ভাবন করেছে। তবে গণস্বাস্থ্যের কিট আর তাদের কিট এক না। তারা পিসিআরও এবং কিট দুটোই ব্যবহার করছেন। এটার ব্যবহারে তারা প্রচুর সাফল্যও পাচ্ছেন।
এদিকে, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র যে কিট উদ্ভাবন করেছে, সেটা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর নেয়নি। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কিট আসুক না আসুক, কাউকে ঘুষ দেবে না গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
তিনি বলেন, অনুমোদনের জন্য গতকাল কিট হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু সরকারি ওষুধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিট নিতে কেউ আসেননি। পরে আজ তাদের ওখানে পৌঁছে দেয়ার জন্য বলেছিল। সেই অনুযায়ী ওখানে কিট পৌঁছানো হয়। কিন্তু তারা কিট গ্রহণ করেননি।
এর আগে, শনিবার বিকেলে একই জায়গায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’ হস্তান্তর করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আমন্ত্রণ জানানোর পরও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত এ কিট গ্রহণের জন্য যায়নি সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান।-বাংলাদেশ প্রতিদিন