নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ চার সপ্তাহ পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের মসজিদগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারের বেধে দেওয়া শর্ত মেনে পবিত্র জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নামাজে অংশ নিতে ভিড় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এর আগে করোনার সং'ক্র'মণ ঠে'কাতে চার সপ্তাহ সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশের অনুমতি পাননি।
এ সময় স্বল্প পরিসরে খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিনসহ মাত্র ১০ জন মুসল্লির অংশগ্রহণে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বৃহস্পতিবার থেকে ১২ শর্তে মসজিদে সব নামাজ জামাতে আদায়ের অনুমতি দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় আজান দেওয়া হয় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে। আজানের পরপরই নামাজের জন্য মসজিদে আসা শুরু করেন মুসল্লিরা। খুলে দেওয়া হয় গেট। সেখানে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করানো হয়।
জুমার নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের জন্য বসানো হয় জীবাণুনা'শক অটোমেটিক স্প্রে মেশিন। মুসল্লিদের সবাই মাস্ক পরছেন কিনা সেটা নি'শ্চিত হয়েই মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। আর নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজে ইমামতি করেন পেশ ইমাম মুহিবুল্লাহ হিল বাকী। নামাজের আগে বেলা ১টায় বাংলা বয়ানে তিনি স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, করোনার কারণে এতদিন মুসল্লিদের উপস্থিতিতে জুমার নামাজ হয়নি। আমরা সীমিত পরিসরে জুমার নামাজ আদায় করেছি। এখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে নামাজের অনুমতি পেয়েছি। আমরা এমন কাজ করব না যে, মসজিদে এসে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এতে মসজিদের ব'দনাম হয়ে যাবে। কাজেই আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে প্রবেশ করব।
মুহিবুল্লাহ বলেন, রাসুল (রা.) যেকোনো বিষয়ে সত'র্কতা অবলম্বনে বিষয়ে গুরুত্ব দিতেন। কাজেই এই সং'ক'টকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলব এবং সত'র্কতা অবলম্বন করব। একমাত্র আল্লাহই পারেন হেফাজত করতে। তিনি নি'শ্চয়ই আমাদের হেফাজত করবেন। নামাজ শেষে মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সকলের জন্য দোয়া করেন মুহিবুল্লাহ হিল বাকী।