শনিবার, ১৬ মে, ২০২০, ০৯:৪৭:০৮

প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়!

প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচা'পটি সামান্য পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অ'গ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে এই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আজ শনিবার রাতেই এটি প্রবল শক্তি সঞ্চয় করলে সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড় আমপান।

আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশ'ঙ্কা রয়েছে ৮০ শতাংশ। বর্তমানে নিম্নচা'পটির যে গতিমুখ রয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে ঢোকার পথ নির্দেশ করছে। তবে গতিপথ যে কোনো সময় পরিবর্তন করতে পারে। আর যে গতিতে এগোচ্ছে সেই গতি ধরে রাখলে ১৯ কিংবা ২০ মে'র দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আ'ঘা'ত হা'নবে।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গভীর নিম্নচা'পটি শনিবার মধ্যরাতেই ঘূ'র্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আর আমপানে রূপ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এটি ব্যা'পক শ'ক্তি নিয়ে এগোতে থাকবে। এক্ষেত্রে ঘূ'র্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠে যাবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার (কিমি) পর্যন্ত।

ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ ১৭ মে এটি তী'ব্র রূ'প ধা'রণ করলে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠবে ১২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। ১৮ মে খুব তী'ব্র রূপ নিয়ে বাতাসের গতিবেগ উঠে যাবে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। আর ১৯ মে অতি তী'ব্র রূপ নিয়ে আমপানের কেন্দ্রে সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ উঠে যাবে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এরপর গতি কমে ২০ মে ১৯০ কিমি, এরপর ১৭০ কিমি এবং ২১ মে ১৩৫ কিলোমিটারে নেমে আসবে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞানী সুনিতা দেবী এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপটি বর্তমানে উড়িষ্যা প্যারাদ্বিপ থেকে এক হাজার ৪০ কিমি দক্ষিণে, পশ্চিবঙ্গের দিঘা থেকে এক হাজার ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে এক হাজার ৩০০ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে (শনিবার রাতের মধ্যে) গভীর নিম্নচা'পটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ রবিবারই (১৭ মে) এটা তীব্র রূপ ধা'রণ করবে। প্রথমে এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক অ'গ্রসর হলেও কিছুটা দিক পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অ'গ্রসর হবে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের (বাংলাদেশ) উপকূল দিয়ে এটি সমতলে উঠে আসবে ১৮ থেকে ২০ মে'র মধ্যে।

এক্ষেত্রে কলকাতা হয়ে খুলনা অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করবে বাংলাদেশে। প্রভাব থাকবে রাজশাহী অঞ্চলেও। বাতাসের সম্ভা'ব্য গতিবে'গের ছকঘূ'র্ণিঝড়ের প্রভাবে উড়িষ্যাতে ১৮ ও ১৯ মে ভারী থেকে অতি ভারী ব'র্ষণ হতে পারে। আর পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের অঞ্চলে ১৯ ও ২০ মে ভারী থেকে অতি ভারী এবং তী'ব্র ভারী ব'র্ষণ হতে পারে।

এদিকে, প্র'বল উত্তা'ল থাকবে বলে এই সময় উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূল থেকে সব মাছ ধ'রা নৌকাকে সাগরে যেতে বা'রণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতের উড়িষ্যার সব বন্দরে এক দূরবর্তী সত'র্ক সংকে'ত দেখাতে বলেছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরও মোংলা, পায়রা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরগুলোকেও এক নম্বর দূরবর্তী সত'র্ক সংকে'ত দেখাতে বলেছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধ'রার ট্রলার ও নৌকাকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে