প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মধ্যেই ধে'য়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আম্পান। বাংলাদেশ উপকূল থেকে আর মাত্র ৩৯০ কি.মি দূরে রয়েছে ঝড়টি। বঙ্গোপসাগরের ৪শ থেকে ৫শ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থানরত সুপার সাইক্লোনটি উপকূলে পৌঁছাবে আজ বিকেলে।
আজ বুধবার (২০ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান এখন সমুদ্রে ৪শ থেকে ৫শ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থান করছে। বিকেলে দেশের উপকূলে পৌঁছাবে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল পেরিয়ে আবার স্থলভাগ দিয়ে আসতে পারে। এর প্রভাব থাকবে ২২-২৩ তারিখ পর্যন্ত।
তিনি আরো বলেন, সুপার সাইক্লোন আম্পান পুরোপুরি আইলার কপি। তাই এর শক্তি নিয়ে স'ন্দেহ না রেখে এখনই উপকূলবাসীর আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া উচিত। রোদ দেখে বিপদ কম মনে করার সুযোগ নেই, ঝড়টি সব মেঘ নিজের কাছে টেনে নেয়ায় এমনটা হচ্ছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ এর কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ পরিস্থিতি সব সময় মনিটরিং করছেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস ইউং।
মঙ্গলবার (১৯ মে) রাতে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান ইহসানুল করিম। এ সময় সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও এই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।