নিউজ ডেস্ক : সমুদ্রে গর্জন, উঁচু উঁচু ঢেউ, জলোচ্ছ্বাস, প্রবল বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া—এমন রুদ্রমূর্তি নিয়ে স্থলভাগে তা'ণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে ১৯৯৯ সালের পর প্রথম সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন আম্ফান। ভ'য়ংকর আম্ফান ত'ছন'ছ করেছে গাছপালা, মানুষের ঘরবাড়ি।
আম্ফান উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উপকূলীয় নদ-নদীগুলোর পানি ৩ থেকে ৬ ফুট বেড়ে যায়। এ কারণে পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রাত পর্যন্ত শতাধিক গ্রাম তলিয়ে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। আম্ফান যখন উপকূলে আছড়ে পড়ে, তখন ৫-১০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুরো অঞ্চলজুড়ে লাখ লাখ মানুষের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ।
আম্ফানের প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসের কারণে উপকূলীয় নদ-নদীগুলো উত্তাল হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরা, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বেড়িবাঁধে ভা'ঙন দেখা দেয়। অনেক স্থানে ফা'টল ধরেছে বাঁধে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর অন্তত ২৪ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে গতকাল দুপুরে বরগুনায় এক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া ঝোড়ো বাতাসে গাছ ভে'ঙে পড়ে ভোলার চরফ্যাশনে মা'রা গেছেন একজন। একইভাবে পটুয়াখালীর গলাচিপায় মা'রা গেছে এক শিশু। জেলার কলাপাড়ায় নৌকা ডুবে মা'রা গেছেন সিপিপির এক টিম লিডার। গাছের ডাল ভে'ঙে পড়ে সাতক্ষীরা সদরের কামালনগরে মা'রা গেছেন এক নারী। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঘরের দেয়াল ধসে চাপা পড়ে মা'রা গেছেন একজন।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ধ্বং'সযজ্ঞ চালিয়েছে। সেখানে অন্তত ১২ জনের মৃ'ত্যু হয়েছে।