নিউজ ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন আমফান সুন্দরবনের উপর দিয়ে বাংলাদেশ উপকূলে প্রবেশ করে তা'ণ্ডব চালিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে রাজশাহী অঞ্চলে গিয়ে দুর্বল হয়েছে। তবে সামুদ্রিক ঝড় থেকে বাংলাদেশের রক্ষাকবচ এ বনটির যে পরিমাণ ক্ষতি হওয়ার আশ'ঙ্কা করা হচ্ছিল ততটা হয়নি বলে জানা গেছে।
সুন্দরবনের প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, আমফান মূলত সুন্দরবনের সাতক্ষীরা অংশ দিয়ে গিয়েছে, তবুও প্রভাব ছিল গোটা অঞ্চল জুড়েই। তবে তিনি বলছেন, ‘যতটা আশ'ঙ্কা করেছিলাম ততটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
গাছপালার ক্ষতি কতটা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বনাঞ্চলের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেটা এখনই বলা মুশকিল। অনেক নদী পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। সুন্দরবনের মাঝ ও শুরুর দিকে তেমন ক্ষতি হয়নি, কেওড়া গাছের কিছু ডাল ভে'ঙেছে।’
সমুদ্র সংলগ্ন এলাকায় একেবারেই দক্ষিণের এলাকায় ঝড়ের ঝাপটা ছিল অনেক বেশি। চার ফিট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হওয়ার ফলে ৬১টি টহল ফাঁড়ি ও ১৬টি স্টেশন লবণ পানিতে তলিয়ে গেছে। টিনশেড উড়ে গেছে অনেক স্থাপনার।
তবে বনের ভেতরে মাছ ধরতে ও মধু আহরণের জন্য অনেকেই ছিলেন। ‘অমাবশ্যা ও পূর্ণিমায় মাছ ধরে এখন মধু আহরণের মৌসুম। এই সিগনাল শুরু হওয়ার আগে জেলেরা মাছ ও মধু সংগ্রহের জন্য প্রবেশ করেছিল। অনেকেই বের হয়ে এসেছে, যে কয়জন ছিলেন তাদের খবর এখনো পাওয়া যায়নি।’ সূত্র : বিবিসি