নিউজ ডেস্ক : মাহপারা তাসনীম ও মাশরুর তাহমিন, ভাইবোন। তারা আক্রা'ন্ত হয়েছিলেন প্রাণঘা'তী করোনাভাইরাসে। তবে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন তারা।
করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পরই অন্যের জীবন বাঁ'চাতে এগিয়ে এসেছেন এই দুই ভাইবোন। তারা করোনা আক্রা'ন্ত একজন চিকিৎসকের জন্য প্লাজমা দিয়েছেন। গত ২৭ মে তারা এই প্লাজমা দেন।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহপারা তাসনীমের মা–বাবা দুজনেই চিকিৎসক। বাবা মশিউর রহমান হবিগঞ্জের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক। মা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক হেলেনা আফরিন। মাহপারা, তার ভাই ‘এ’ লেভেলে পড়ুয়া মাশরুর তাহমিন ও মা হেলেনা করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।
মাহপারা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদেরকে যখন বলেছে যে একজন অসুস্থ, আমাদের প্লাজমাটা ওনার কাজে লাগবে। তখন মনে হলো যে এটা তো আমাদের দায়িত্ব। আমাদের জন্য এটা একটা সুযোগ যে কাউকে সাহায্য করতে পারছি। যাঁরা শারীরিকভাবে সক্ষম, সবার উচিত প্লাজমা দিয়ে সাহায্য করা।’
মাহপারা ও মাশরুরের বাবা মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ছেলেমেয়েরা ছোট হয়েও এগিয়ে এসেছে। সাহস করেছে। মানুষের ভী'তিটা কাটুক। যারা সুস্থ হয়েছেন, তাঁরাও এগিয়ে আসুন। কারও জন্য কিছু করতে পারা অনেক বড় ব্যাপার। এই ক'ঠিন প'রিস্থিতিতে সবাই যদি এগিয়ে না আসে, বিপদ বাড়বেই। এখন পর্যন্ত প্লাজমা চিকিৎসা কিছুটা কার্যকর দেখা যাচ্ছে।’
ছেলেমেয়ের প্লাজমা একজন গু'রুতর রোগীর জন্য দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মশিউর রহমান বলেন, দুজনের প্লাজমা আইসিউতে নিয়ে রোগীকে দেওয়া হয়েছে। এরপর জানতে পারেন যে রোগীর কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মশিউর রহমানের পরিবার সাহসের সঙ্গে নিজেদের বিপ'দ সামলেছে। এখন অন্যের বি'পদেও এগিয়ে এসেছে।