নিউজ ডেস্ক : করোনার ভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার পরেও এ বছর দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শ্রেণীর জন্য ক্লাস কিংবা পরীক্ষা নেয়া যাবে কিনা সে ব্যাপারে এখনো অনিশ্চিত। এ অবস্থায় উচ্চশ্রেণীতে শিক্ষার্থীদের উত্থানের জন্য মূল্যায়ন সং'ক্রান্ত বিভিন্ন বিকল্প চিন্তাভাবনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে শিক্ষা প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত সিলেবাসট কমিয়ে সংক্ষিপ্ত করে স্বল্পমেয়াদী মূল্যায়নের বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসলে সবকিছু নির্ভর করছে করোনা প'রিস্থিতির ওপর। কারণ আগস্টেও যদি প'রিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে ক্লাস হওয়ার সুযোগ আরও কমে যাবে। তখন বিদ্যালয়গুলোর অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা আদৌ নেওয়া যাবে কি না, তা তখনই বলা যাবে। তবে সেপ্টেম্বরেও যদি প'রিস্থিতি ভালো হয় তাহলে যতটুকু ক্লাস নেওয়া যায় তার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা যাবে।
কারণ, বিকল্প হিসেবে সিলেবাস ধরেই ইতিমধ্যে টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস প্রচার করা হচ্ছে। এতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছে। কেউ কেউ বলছেন, যদি পরীক্ষা নিয়েই মূল্যায়ন করতে হয় তাহলে সব বিষয়ের পরীক্ষা না নিয়ে মৌলিক কয়েকটি বিষয়ের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা যেতে পারে। ইতিমধ্যে প্রাথমিকে প্রথম সাময়িকী পরীক্ষা বাদ হয়ে গেছে। আসন্ন দ্বিতীয় সাময়িকী পরীক্ষাও হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বিদ্যমান প'রিস্থিতিতে আপাতত সিলেবাস কাটছাঁট করে মূল্যায়নের কথাই বেশি ভাবছেন নীতিনির্ধারকেরা। মাউশির মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, মাধ্যমিকে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা তো আর নেওয়া গেলই না। এখন সেপ্টেম্বরেও যদি স্কুল খুলে তখন হয়তো বাকি ৫০ শতাংশ সিলেবাসের ভিত্তিতে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে মূল্যায়ন করা হতে পারে। এগুলো নির্ভর করছে প'রিস্থিতির ওপর।
এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, ইতিমধ্যে যতটুকু ক্লাস হয়েছে বা ভবিষ্যতে যতটুকু ক্লাস নেওয়া সম্ভব হবে তার ওপর ভিত্তি করেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এ ক্ষেত্রে ওপরের শ্রেণিগুলোর সঙ্গে যেসব বিষয়ের সাদৃশ্য আছে কেবল সেগুলোর ভিত্তিতেই মূল্যায়ন হতে পারে। যেমন সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণিতে ওঠার জন্য যে পরীক্ষা (বার্ষিক) হবে সেখানে শিক্ষাক্রমে অষ্টম শ্রেণির সঙ্গে সাদৃশ্য থাকা বিষয়ের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।