নিউজ ডেস্ক : অ'শ্লী'ল ওয়েব সিরিজ নির্মাতাদের সত'র্ক করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ''ওয়েব সিরিজ, সিনেমা বা যেকোনো কিছু নির্মাণ ও প্রচার করার ক্ষেত্রে আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয়। আমাদের একটি কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি আছে, আমাদের সমাজের একটি মূল্যবোধ আছে। এটি অনেক সময় অনেকে মাথায় রাখেন না।''
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে, এই দোহাই দিয়ে আমাদের কৃষ্টি–সংস্কৃতিকে অব'জ্ঞা করে কোনো কিছু করা কখনোই সমী'চীন নয়। আইন অনুযায়ীও সেটি দ'ণ্ডনীয় অ'পরা'ধ।
বাংলাদেশে ২০১২ সালে প্রণীত এ–সংক্রা'ন্ত আইন অনুযায়ী এ ধরনের অ'শ্লী'লতা প্রচারের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কা'রাদ'ণ্ড, উল্লেখ করেন তিনি। টিআরপির বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনুমোদনহীন টিআরপি সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, এ ক্ষেত্রে একটি শৃঙ্খলা অবশ্যই আনতে হবে।
অ'শ্লী'ল ওয়েব সিরিজ নির্মাতা ও তাদের সহযোগীদের বি'রু'দ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব সার্ভিস প্রোভাইডার এ ধ'রনের ওয়েব সিরিজ প্রচার করার সুযোগ করে দিয়েছে, তাদের এ কাজের জন্য আদৌ কোনো লাইসেন্স আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি লাইসেন্স না থাকে, তাহলে এই অ'বৈ'ধ কাজের জন্য অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর লাই'সেন্স থাকলেও তাদের ডোমেইন ব্যবহার করে এ ধ'রনের অ'শ্লী'ল জিনিস প্রচার করাও দ'ণ্ড'নীয় অ'পরা'ধ। সে বিষয়েও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্র'ক্রি'য়া চলছে।
থ্যমন্ত্রী বলেন, ''এখন কে কাকে টিআরপি দেয়, সেটি আমাদের জানা নেই। টিআরপি যারা করছে, তারা কোথা থেকে অনুমতি নিয়েছে, কে তাদের লাই'সেন্স দিয়েছে—সেটি অনেকের প্রশ্ন। কারণ, বাংলাদেশে টিআরপি নির্ধারণের জন্য সরকার অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। আমরা জানতে পেরেছি, যে অনুমো'দনহী'ন প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানগুলো টিআরপি নির্ধারণ করে, সেখানেও অ'শু'ভ, অ'সু'স্থ প্রতিযো'গিতা হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।''
ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ইউরোপের দেশগুলোতে টিআরপি কীভাবে নির্ধা'রণ হয়, সরকার তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, সবচেয়ে বড় টেলিভিশন-শিল্পের দেশ ভারতে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি সংস্থা আছে, সেই সংস্থা টিআরপি ঠিক করে দেয়।