নিউজ ডেস্ক : নমুনা পরীক্ষা করেননি, কিন্তু তার নামে রিপোর্ট চলে এসেছে করোনা পজিটিভ। ফলে এলাকাবাসী ও স্বাস্থ্য বিভাগের তো'পের মুখে বাধ্য হয়ে নমুনা পরীক্ষা করাতে হয়েছে সিদ্দিক হাওলাদার নামের এক ব্যক্তিকে। ঘটনাটা ঘটেছে মাদারীপুর শহরে। সে সাথে জেলায় নমুনা নিতে ও রিপোর্ট দিতে দেরির অভি'যোগ তো রয়েছেই। এসব অভি'যোগের দায় স্বীকার করে স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, নমুনা দিতে আসা রোগীরা অন্যদের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর দেয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে।
করোনার পরীক্ষার নমুনা দেননি কোনো হাসপাতালে সিদ্দিক হাওলাদার। কিন্তু তার মোবাইল নম্বরেই গত ১৬ জুন এসএমএস চলে আসে করোনা পজিটিভ। এটা জানাজানি হলে এলাকাবাসীর তো'পের মুখে পড়েন মাদারীপুর পৌরসভার পাকদী এলাকার যুবক সিদ্দিক হাওলাদার। পরে স্বাস্থ্য বিভাগ ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারাও তার বাড়িতে হাজির হন। চরম হেনস্তার মধ্যে বাধ্য হয়ে পরদিন জেলা সদর হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে হয় তাকে। যদিও বাড়িতে কারোরই করোনা উপসর্গ নাই।
এদিকে সদর হাসপাতালে নমুনা দিতে আসা মানুষের অভি'যোগ, স্বাস্থ্যকর্মীরা নামের তালিকা করে দুই থেকে তিন দিন পরে নমুনা নিচ্ছেন। এরপর ৫ থেকে ৭ দিন পর করোনার রিপোর্ট দেয়া হয়। রিপোর্ট দেরিতে পাওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়ছেন রোগীরা। তাই দ্রুত রিপোর্টের জন্য জেলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি ভুক্তভোগীদের। সুশীল সমাজ মনে করে, স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণেই রিপোর্ট নিয়ে ভো'গান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
নমুনা দিতে আসা রোগীরা অন্যদের নাম, ঠিকানা আর মোবাইল নাম্বার দেয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম।
করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব ঠেকাতে মাদারীপুরের চারটি পৌরসভার ২০টি ওয়ার্ড ও ২২টি ইউনিয়নকে রেড জোন ঘোষণা করে স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলায় ৬ শতাধিক মানুষ এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রা'ন্ত হয়েছেন।-সময়নিউজ