নিউজ ডেস্ক: 'প্রত্যেককেই এই দুর্নীতির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।' একটি টেলিভিশনের টকশোতে বলেছিলেন এ কথা। খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলা কথাটা সত্যি হলো। দুর্নীতির দায়ে সাহেদও ছাড় পেলেন না। আইনের জালে তিনিও ধ'রা পড়লেন। এ সং'ক্রা'ন্ত একটি বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাই'রাল হয়ে পড়েছে।
প্র'তার'ণার অভি'যোগে গ্রেফ'তার রিজেন্ট হাসপাতালের সাতজনকে পাঁচ দিন করে রি'মা'ন্ডে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া উত্তরা শাখার পর গতকাল রিজেন্ট হাসপাতাল মিরপুর শাখাকে সিল'গালা করে দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্য'মাণ আদালত।
ভ'য়ঙ্ক'র প্র'তার'ক সাহেদের বিরু'দ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২০১৬ সালে সংশ্লি'ষ্ঠ দফতরে একটি চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু রহ'স্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উ'ল্টো রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সব অনুষ্ঠানে ছিল সাহেদের সরব উপস্থিতি। গত ১০ বছর ধ'রে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ছবি উ'ঠিয়ে ফেসবুকে দিয়ে নিজেকে জাহির করতেন। সাবেক সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে ‘বিডি ক্লি'ক ওয়ান’ নামে একটি এমএলএম কোম্পানি খুলে ৫০০ কোটি টাকা হা'তিয়ে নেওয়ার পর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির সদস্যের পদ বাগানোর পর তার প্র'তার'ণার মা'ত্রা বে'ড়ে যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি বলছেন, সরকার কাউকে ছাড় দেবে না, যত অন্যায় করুক। সরকারের ঘনি'ষ্ঠ হিসেবে যারা পরিচয় দিয়ে নানা ফা'য়দা নিচ্ছে তাদের অ্যা'ড্রেস করা হচ্ছে।
টেলিভিশনের ওই টকশোতে বলছেন, এই যে আমি ঢাকায় ত্রিশ বছর ধ'রে আছি। আমি কোনোদিন ক্যাসি'নোর কথা শুনি নাই। অথচ দেখেন এই শহরে কত ক্যাসিনো ছ'ড়িয়ে ছি'টিয়ে রয়েছে। সরকার অপরা'ধীকে ছা'ড় দেবে না বলে নিজের দলের ভেতর থেকে পরিচ্ছ'ন্ন অভি'যান শুরু করেছে। এই জিকে শামীমের কথাই ধরুন, সে কি ছাড় পেয়েছে?
টকশো'তে যেভাবে কথা আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলেছেন শাহেদ, সেসব যে তিনি নিজেই করছেন তা কে জানতো। ক্র'মাগত চেহারা পা'লটে সাহেদ ঠিকই জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বস্ততার তালিকায়। যার কারণে অবাধে বিচরণ করেছেন সর্বত্র। বিডি-প্রতিদিন