বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০, ১০:৩০:২৪

জানা গেল শাহেদের ১০ বছর আগের প্র'তারণার আরেক ঘটনা

জানা গেল শাহেদের ১০ বছর আগের প্র'তারণার আরেক ঘটনা

নিউজ ডেস্ক : করোনা পরীক্ষার ভু'য়া রিপোর্ট দেয়ার অভি'যোগে গ্রে'ফতার আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ ওরফে শাহেদ করিম একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। চেক জা'লিয়াতির মা'মলায় ১০ বছর আগে ২০১০ সালে তার ছয় মাসের কারাদ'ণ্ড হয়েছিল। সেই সময় তাকে ৫৩ লাখ টাকা জ'রিমানা করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুস সাত্তার দুলাল গণমাধ্যমককে বলেন, চেক জা'লিয়াতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি শাহেদ করিম। ২০০৮ সালে চেক জা'লিয়াতির অভি'যোগে মজিবর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী শাহেদ করিমের বিরু'দ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মা'মলা করেন। সেই মা'মলায় বিচার শেষে ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত শাহেদকে ৫৩ লাখ টাকা জ'রিমানা করেন। একই সঙ্গে ৬ মাসের কারাদ'ণ্ড দেন আদালত। আদালত থেকে শাহেদের বিরু'দ্ধে তখনই সাজার পরোয়ানা জা'রি করা হয়। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রে'ফতার করেনি। ফলে বাদী তার টাকাও পাননি। ওই মা'মলায় শাহেদ পলাতক ছিলেন। পলাতক থাকা অবস্থায় তার বিরু'দ্ধে গ্রে'ফতারি পরোয়ানাও জা'রি করা হয়েছিল।

১০ বছর আগে শাহেদের বিরু'দ্ধে সাজা পরোয়ানা কার্যকর না হওয়ায় গত সোমবার (১৩ জুলাইন) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত পুনরায় সাজার পরোয়ানা জা'রি করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরা'ধ ও তথ্য বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শাহেদ একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার বিরু'দ্ধে আদালত পুনরায় সাজার পরোয়ানা জা'রি করেছেন। সেই পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট দেয়াসহ নানা প্র'তারণার অভি'যোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে গত ৭ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় মা'মলা করে র‌্যাব। সেই মামলায় শাহেদকে বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে সাতক্ষীরা থেকে গ্রে'ফতার করেছে র‍্যাব। এ মা'মলায় গ্রে'ফতার হয়ে কারাগারে আছেন আট আসামি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে