শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০, ০৮:২০:২২

ডা. সাবরিনার বিরু'দ্ধে অ'ভিযোগ প্রমাণিত হলে যে সাজা হতে পারে

ডা. সাবরিনার বিরু'দ্ধে অ'ভিযোগ প্রমাণিত হলে যে সাজা হতে পারে

নিউজ ডেস্ক : প্র'তারণার মা'মলায় দ্বিতীয় দ'ফায় রিমান্ডে রয়েছেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ডা. সাবরিনা চৌধুরী। অভি'যোগ রয়েছে, চলতি বছরের ১৬ জুন সিটি করপোরেশন থেকে জেকেজি’র ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া হয়। অথচ ৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেই নমুনা সংগ্রহের অনুমতি পায়। আর একটি বুথের অনুমতি থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অবগত না করে ৪০টির মতো অবৈধ বুথ স্থাপন করেছে তারা।

বুথ, হটলাইন ও বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে জেকেজি ২৭ হাজার মানুষের কোভিড নমুনা সংগ্রহ করে। আর বিনামূল্য নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে প্রতি রোগীর কাছ থেকে ৫ হাজার ও বিদেশি নাগরিকের কাছ থেকে ১০০ ডলার করে নিয়েছে তারা। এভাবে তিন মাসে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাবরিনা ও আরিফের প্রতিষ্ঠান জেকেজি।

তদ'ন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাবরিনার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি যে জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেটি পারভীন আক্তার নামের এক নারীর। সাবরিনা ও আরিফের গুলশান-২ এ কনফিডেন্স টাওয়ারের ১৫ তলায় জেকেজির কার্যালয়ে অভি'যান চালিয়ে ল্যাপটপ, কোভিডের জা'ল সনদ, পরীক্ষার কিট, বিদেশি ম'দের বোতল, ই'য়াবা সেবনের সরঞ্জাম উ'দ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে এই কক্ষে প্রতিদিনই ম'দ, ই'য়াবা ও না'রীর আসর বসানো হতো।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, প্র'তারণার মা'মলা হলেও তার বি'রুদ্ধে ত'দন্ত চলছে। ত'দ'ন্তে যেসব বিষয় উঠে আসবে সেগুলোর জন্য পৃথক মা'মলা হবে। অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের দায়ে মানিলন্ডারিং আইনে মা'মলা হবে। মা'দক উ'দ্ধার হলে মা'দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে, চাকরিতে অনিয়মিত থেকে বেতন-ভাতা নেওয়ার ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, কেউ সরকারি চাকরিতে থেকে ব্যবসা করতে পারেনা। সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সরকারের সঙ্গে প্র'তারণা ও চুক্তি ভঙ্গ করেছে। এ জন্য পৃথক মা'মলা হতে পারে বলে জানান তিনি।

এছাড়া, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, প্র'তারণার সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহারও করেছে ডা.সাবরিনা। প্র'তারণার অভি'যোগে দণ্ডবিধির ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় মা'মলা হতে পারে। প্র'তারনার অভি'যোগে সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজার বিধান রয়েছে। মিথ্যা রিপোর্ট দেওয়ায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তারা ক্ষতিপূরনের মা'মলা করতে পারবেন। আর মিথ্যা রিপোর্ট নিয়ে কেউ চিকিৎসার অভাবে মা'রা গেলে ৩০৪ (ক) ধারায়ও মা'মলা করতে পারবেন।

তিনি বলেন, মিথ্যা রিপোর্ট নিয়ে কেউ অন্যদের আক্রা'ন্ত করার কারনে সং'ক্রামক রোগ প্র'তিরোধ আইনেও মা'মলা করা যায়। প্র'তারণা করে অবৈধ অর্থ উপার্জনের কারণে মানিলন্ডারিং আইনের ২৬ ও ২৭ ধারা অনুযায়ী মা'মলা করা যাবে। এ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড। যার নামে প্র'তারণা করে সিম ব্যবহার করছে তিনিও চাইলে প্র'তারণার অভি'যোগে মা'মলা করতে পারেন।

সাজু বলেন, বিদেশি মা'দক ও ই'য়াবা উ'দ্ধার হলে পৃথক মা'মলা হতে পারে। ই'য়াবার পরিমান ৪০০ গ্রামের বেশি হলে মৃ'ত্যুদণ্ড পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে। আর ২৫ গ্রামের বেশি ও ৪০০ গ্রামের নিচে হলে ১০ বছরের সাজা। কর্মস্থলে নিয়মিত কাজ না করে বেতন-ভাতা নেওয়ার ঘটনায় সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ অর্থ ফেরতের ব্যবস্থা নিতে পারে বলেও জানান এই আইনজীবী। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে