সোমবার, ২০ জুলাই, ২০২০, ০৯:২৪:৪৭

১১ বিলিয়ন ডলারের রফতানির অর্ডার পেলো পোশাক খাত

১১ বিলিয়ন ডলারের রফতানির অর্ডার পেলো পোশাক খাত

নিউজ ডেস্ক : করোনা মহামা'রির কারণে গত এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই— এই চার মাসে তৈরি পোশাকের রফতানি আদেশ স্থ'গিত হয়েছিল প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের। এই ৮ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার বা স্থ'গিত আদেশের ৮০ শতাংশ ফিরে পাচ্ছেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। এছাড়া করোনার মধ্যেও বহাল ছিল প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার। 

ফলে করোনা মহামা'রি পরি'স্থিতিতেও (এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই) প্রায় সাড়ে ১০ বিলিয়ন থেকে ১১ বিলিয়ন ডলারের রফতানি অর্ডার পেয়েছেন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের মালিকেরা। তবে স্থ'গিত হওয়া অন্তত দেড় বিলিয়ন ডলার মূল্যের অর্ডারের আশা ছেড়েই দিতে হচ্ছে তাদের। একইসঙ্গে সেই তুলনায় নতুন ক্রয়াদেশ কম আসায় কিছুটা হতা'শাও রয়েছে। অবশ্য যে হারে ক্রয়াদেশ আসছে, সেটিকে মন্দের ভালো বলছেন পোশাক শিল্পের মালিকরা।

পোশাক খাতের সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনার মধ্যেও বাতিল হওয়া ও স্থ'গিতাদেশ হওয়া সেই পণ্য নিতে শুরু করেছেন বিদেশি ক্রেতারা। পাশাপাশি নতুন করে আসছে ক্রয়াদেশও। এরই মধ্যে কিছু কারখানায় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজ করার মতো ক্রয়াদেশ চলে এসেছে। ফলে করোনা ভাইরাসের শুরুর দিকে বি'প'র্যস্ত রফতানি আয়ের শীর্ষ এই খাতটি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ''সাধারণ ছুটির মধ্যে কারখানা খুলে দেওয়ার মতো চ্যালে'ঞ্জিং সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং শ্রমিকদের মধ্যে করোনা সং'ক্র'মণ নি'য়'ন্ত্রণ করতে পারার কারণে বড় কারখানাগুলো টিকে থাকার মতো ক্রয়াদেশ ফিরে পেয়েছে।'' তবে ছোট ও মাঝারি কারখানা সেভাবে অর্ডার পাচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে বিকেএমইএ'র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ''স্থ'গিত হওয়া আদেশ থেকে যেটা আসছে, তা মন্দের ভালো। তবে নতুন ক্রয়াদেশ সেই তুলনায় আসছে না বললেই চলে। এছাড়া কোনও কোনও ক্রেতা (বায়ার) স্থগিত করা অর্ডার থেকে ৮০ শতাংশ পণ্য নিতে চাইলেও অনেকে ২০ শতাংশও নিতে রাজি হচ্ছে না। ফলে রফতানিতে একটা গ্যাপ থেকেই যাচ্ছে।''

আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এর প্রতিফলন দেখা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, স্থ'গিত হওয়া রফতানি আদেশ ফিরে আসায় গত এপ্রিল ও মে মাসের তুলনায় জুন ও জুলাইতে রফতানি কিছুটা ইতিবাচক দেখা গেলেও পরের মাসগুলোতে অর্থাৎ আগস্ট-সেপ্টেম্বরে রফতানি কমে যাবে। কারণ, এই সময়ের জন্য রফতানি আদেশ নেই বললেই চলে। তবে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের দিকে নতুন ক্রয়াদেশ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে মনে করেন তিনি।

বিজিএমইএ'র মুখপাত্র কামরুল আলমও মনে করেন, স্থ'গিত আদেশ ফিরে আসলেও রফতানিতে সং'ক'ট থাকছেই। কারণ, একদিকে স্থ'গিত হওয়া অ'র্ডারের অন্তত ২০ শতাংশ রফতানি হবে না। অন্যদিকে নতুন অর্ডার আসছে না। তিনি উল্লেখ করেন, নভেম্বরের আগে কোনও আশাও করা যাচ্ছে না। ফলে আগামী চার মাস, (জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর) রফতানি হয়তো ২০ শতাংশ কমে যাবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে