মঙ্গলবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৪:২৮:৪৬

‘নামে মিল, কারাগারে ভুল লিটন’, তদ'ন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

‘নামে মিল, কারাগারে ভুল লিটন’, তদ'ন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

নিউজ ডেস্ক: ‘নামের সঙ্গে মিল থাকায় দ'ণ্ডপ্রাপ্ত প'লাত'ক আ'সামির পরিবর্তে ভোলার দিনমজুর মো. লিটন কা'রাগারে রয়েছে’ মর্মে করা রি'টের প্রে'ক্ষিতে ঘ'টনাটি তদ'ন্ত করার নির্দে'শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকার ২ নং বিশেষ জজ আদালতকে এ বিষয়ে ত'দন্ত করার জন্য বলেছেন উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে তদ'ন্তে ভু'ল আ'সামি প্রমাণ পেলে লিটনকে মু'ক্তি দেয়ারও নির্দে'শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সং'ক্রা'ন্ত রি'টের শুনানিতে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক-উল-হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ (ভার্চু'য়াল) এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ মানবা'ধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কে'ন্দ্র এবং কা'রাব'ন্দি মো. লিটনের রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ইয়াদিয়া জামান ও মো. শাহিনুজ্জামান।গত ২৪ আগস্ট মান'বাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কে'ন্দ্র এবং কা'রাব'ন্দি মো. লিটনের পক্ষে এ রি'ট দা'য়ের করা হয়।

নামের মিল থাকায় দ'ণ্ডপ্রা'প্ত প'লাত'ক আসা'মির পরিবর্তে ভোলার মো. লিটনের কা'রা'গারে থাকার বৈ'ধতা চ্যা'লেঞ্জ ও তার মু'ক্তি চেয়ে করা রি'টের ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য ১ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।রিটে লিটনের পরিচয় নি'শ্চি'তকরণে তাকে সশ'রীরে অথবা অনলাইনে হাইকোর্টে হা'জির করা, তাৎ'ক্ষণিক মু'ক্তি দেয়া এবং তার আ'টকাদে'শ অবৈধ' ও আইনগত ক'র্তৃত্বব'হির্ভূ'ত ঘো'ষণা করার নির্দে'শনা চা'ওয়া হয়।রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কারা মহাপরিদর্শক, ভোলার পুলিশ সুপার, ভোলার জেলা প্রশাসকসহ সং'শ্লি'ষ্টদের বিবা'দী করা হয়।

গত ২২ আগস্ট দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে ‘শুধু নাম ঠিকানা মিলে জে'ল খা'টছেন দিনমজুর’ শি'রোনা'মে সংবাদ প্র'কা'শিত হয়। পরে সংবাদটি সং'যু'ক্ত করে হাইকোর্টে রি'টটি দা'য়ের করা হয়।

ওই প্রতিবে'দনে বলা হয়, দু’জনের নাম মো. লিটন। বাবার নাম, গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার নামও একই। পার্থক্য শুধু বয়সে। একজনের অপ'রাধে প্রায় আট মাস ধ'রে কা'রাগারে রয়েছেন অপরজন। সা'জাপ্রা'প্ত আ'সামি মো. লিটনের বয়স ৪১ বছর। আর যিনি জে'ল খা'টছেন তার বয়স ৩০ বছর। তবে পুলিশের দা'বি, গ্রেফ'তার লিটন একবারের জন্যও বলেননি যে তিনি আ'সামি নন। দুই লিটনেরই বাবার নাম নুর ইসলাম। তারা মা'রা গেছেন। দু’জনেরই বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা গ্রামে।

সেখানে উল্লে'খ করা হয়, ‘২০০৯ সালের ২৮ জুন পল্টন থানার আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে থেকে ভারত ও পাকিস্তানের তৈরি আমদানি নি'ষি'দ্ধ চে'তনানা'শ'ক ট্যা'বলে'টসহ গ্রেফ'তার হন লিটন, শামীম ও আরশাদ মিয়া নামের তিনজন। এ ঘ'টনায় পল্টন থানায় দা'য়ের করা মাম'লায় বিচার শুরুর আগেই ওই তিনজন জামিন নিয়ে আ'ত্মগো'পনে চলে যান। পরে ২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রা'ইব্যু'নাল-২ আসামিদের দুই বছর করে স'শ্রম কা'রাদ'ণ্ড ও দুই হাজার টাকা করে অর্থদ'ণ্ড দেন।’

প্রতিবে'দনে আরও বলা হয়, ‘গ্রেফ'তার লিটনের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, লিটনকে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর গ্রেফ'তার করে পুলিশ। তাদের বাবা নুর ইসলাম ১০ বছর আগে মা'রা গেছেন। আ'সামি লিটনের বাড়ি তাদের বাড়ি থেকে ২-৩ মিনিটের পথ। তার বাবা ৩০ বছর আগে মা'রা গেছেন। বাবা মা'রা যাওয়ায় মাকে নিয়ে মূল আসামি লিটন ঢাকায় চলে যান।’জাগো নিউজ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে