রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:৪৬:১৩

পাকিস্তানি মিডিয়ায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা

পাকিস্তানি মিডিয়ায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা করে পাকিস্তানি একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে নিব'ন্ধ প্রকা'শ করা হয়েছে। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল সংবাদ মাধ্যমে শনিবার প্রকা'শিত ওই নিব'ন্ধে পাকিস্তানের অর্থ'নীতির সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতির তু'লনা করা হয়।

নিবন্ধে পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনীতি ও সামাজিক অবস্থান এবং ত'লাবি'হী'ন ঝুড়ি হিসেবে চি'হ্নি'ত হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে দা'রি'দ্র্য হ্রা'স পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধ'রা হয়েছে। এতে বলা হয়, দুই দশক আগেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন মাথাপিছু আয় এবং মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) স্বল্প প্রবৃ'দ্ধির কারণে বাংলাদেশকে ত'লাবি'হী'ন ঝুড়ি বলা হত।

বর্তমানে পাকিস্তানের চেয়েও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেশি। ভারতের পর বিশ্বের দ্রুত ব'র্ধ'নশীল অর্থনীতির দেশ হল বাংলাদেশ। নিবন্ধে বলা হয়, দুই বছর ধ'রে সং'ঘা'তক'ব'লি'ত আফগানিস্তানের চেয়েও পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় কমছে। দেশটির বেশিরভাগ সরকারি বিদ্যালয়ে নিম্নমানের শিক্ষা দেয়া হয়। যেগুলো কেবল দরিদ্রদের শিক্ষা প্রদান করে। এর মাধ্যমে বৈ'ষ'ম্যমূলক দুটি পৃথক সমাজ তৈরি করা হচ্ছে।

এ অঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষায় তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। পাকিস্তানে সেই সংখ্যা সবচেয়ে কম। শিক্ষার্থী ঝ'ড়ে পড়ার হা'র সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানে। ওই নিব'ন্ধে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানের ডাক্তার, নার্স ও প্যারামেডিকেল কর্মী এবং পাশাপাশি সরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালের সংখ্যা বেশি। তারপরেও পাকিস্তানিদের চেয়ে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু তিন বছর বেশি।

এ ছাড়া বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর হার পাকিস্তানের তুলনায় অ'র্ধে'ক। এ ছাড়া বাংলাদেশ একটি পোলিওমুক্ত দেশ। বিশ্বের যে দুটি দেশে এখনও পোলিও রোগটি রয়েছে। তার মধ্যে পাকিস্তান একটি। সম্প্রতি ডব্লিউএইচও নাইজেরিয়াকেও পোলিওমুক্ত ঘোষণা করেছে। পাকিস্তানের সরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের মা'ন খা'রা'প। ফলে দ্রুত ব্যা'প'ক হা'রে বৃদ্ধি পেয়েছে বেসরকারি খাতে স্বাস্থ্যসেবা।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সামাজিক অগ্রগতির সঙ্গে অর্থনৈতিক নৈ'রা'শার সং'মি'শ্র ঘটিয়েছে। এ অঞ্চলের যে কোনো দেশের চেয়ে নারীদের মর্যাদা উন্নয়ন ও অ'ধি'কার সং'র'ক্ষণে সবচেয়ে বেশি প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। নারীদের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে নিবন্ধে বলা হয়, ক্ষু'দ্রঋ'ণ দেয়া হয় মূলত নারীদের। এ ছাড়া সফলভাবে পরিবার পরিক'ল্পনা কর্মসূচি পরিচালনা করছে বাংলাদেশ। এতে শুধু শিশু মৃ'ত্যুহা'রই ক'মেনি, বেড়েছে নারীর মর্যাদাও।

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নারীদের পারিবারিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, পরিবারের মধ্যে নারী সদস্যদের ভূমিকা আরও বেড়েছে। পরিবারের আকার কেমন হবে তার নিয়'ন্ত্রণও এখন বাংলাদেশের নারীদের হাতে। এদিকে পাকিস্তান শুধু মুখে মুখে লি'ঙ্গ স'মতার কথা বলছে। এ ছাড়া এ অঞ্চলে পাকিস্তানেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হা'র সর্বোচ্চ।

ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার নারী শ্রমিকদের কাজের তুলনা করে বলা হয়, নব্বইয়ের দশক থেকে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের উত্থান শুরু হয়। ওই সব প্রতিষ্ঠানে যেসব শ্রমিক কাজ করেন তাদের ৮০ শতাংশই নারী। এতে দেশটিতে নারীদের মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গে আয়ও বেড়েছে। বাংলাদেশে পুরুষদের চেয়ে নারীরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাবার ও শিশুর কল্যাণে বেশি ব্যয় করে। পাকিস্তানের পরি'স্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে