শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:৫৫:২৩

পরিস্থিতির পরিবর্তন, কোন পথে হেফাজতে ইসলাম

পরিস্থিতির পরিবর্তন, কোন পথে হেফাজতে ইসলাম

নিউজ ডেস্ক : পরি'স্থিতির এই পরিব'র্তন একেবারে নাট'কীয় ছিল না। অথচ এক সময় এটা ক'ল্প'নাও করা যেতো না। হেফাজতের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী ছিলেন কওমি আঙ্গিনায় সবচেয়ে সম্মানিত নাম। হেফাজতে তার কথাই ছিল শেষ কথা। কিন্তু ধী'রে ধী'রে পরি'স্থিতি পরিবর্তন হতে থাকে। 

একদিকে আল্লামা শফীর বয়স বাড়তে থাকে। অন্যদিকে, তার ছেলে আনাস মাদানীর প্রভা'ব বাড়তে থাকে। কওমিপাড়ায় যার স'মালো'চক অনেক। দু'র্নী'তি, অ'নি'য়ম ও নি'র্যা'তনসহ তার বি'রু'দ্ধে নানা অ'ভিযো'গ আনা হয়। পরিবর্তিত পরি'স্থিতিতে হেফাজত মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে আল্লামা শফীর। যার প'রিণ'তিতে গত জুনে তাকে হেফাজত হেডকোয়ার্টার থেকে আ'উ'ট হয়ে যেতে হয়।

এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্র'তিবা'দে সরব হয়ে ওঠেন কওমিপ'ন্থী তরুণরা। বা'দ-বিবা'দে জড়ান তারা। বিশেষ করে আনাস মাদানীসহ আল্লামা শফীর কয়েকজন অনুসারী ছিলেন স'মালো'চনার কেন্দ্রে। তারই চূ'ড়া'ন্ত পরিণতি হিসাবে বুধবার দুপুর থেকে উ'ত্তা'ল হতে থাকে হাটহাজারী মাদ্রাসা। আনাস মাদানীর অ'পসা'রণসহ কয়েক দফা দাবিতে শুরু হয় বি'ক্ষোভ'। 

খুব বেশি বি'স্ম'য় তৈরি না করে দাবিতে এটাও দেখা যায়, বয়োবৃদ্ধ আহমদ শফীকে অ'পসা'রণ করে যোগ্য ব্যক্তিকে যেন হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। রাতে আনাস মাদানীকে অ'পসা'রণের ঘোষণা দিলে পরি'স্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। তবে গতকালও দিনভর বি'ক্ষো'ভ হয়েছে সেখানে। সন্ধ্যার দিকে মাদ্রাসা ব'ন্ধ ঘোষণা করা হয়। যদিও আ'ন্দো'লনরত শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্ত প্র'ত্যা'খ্যা'ন করেছেন। সবমিলিয়ে তৈরি হয়েছে অনি'শ্চয়'তা।

১৩ দফার ভিত্তিতে তৈরি হওয়া হেফাজতে ইসলাম গত কয়েক বছর ধ'রেই নানা কারণে আলোচনায় ছিল। প্রায় সব মহলই হেফাজতকে কাছে টানার চেষ্টা করেছে। দেশে-বিদেশে অনেকের দৃ'ষ্টিই ছিল সংগঠনটির দিকে। কার হেফাজতে হেফাজত এ প্রশ্নও আলোচনায় এসেছে বারবার। কিন্তু হেফাজত সদর দপ্তরে নজিরবি'হী'ন পরি'স্থিতি তৈরি হওয়ার পর সংগঠনটির ভবিষ্যতের প্রশ্ন আবার সামনে এসেছে। 

কোন্‌ পথে যাচ্ছে হেফাজত? পর্যবেক্ষকরা বলছেন, হেফাজত ধী'রে ধী'রে কার্যত দু' ভাগ হয়ে গেছে। এক ভাগের নেতৃত্বে রয়েছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী, অন্যভাগের নেতৃত্বে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। হাটহাজারীর ঘ'টনা যে বিভ'ক্তিকে আরো সামনে নিয়ে এসেছে। যদিও জুনায়েদ বাবুনগরীকে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে অ'পসা'রণের পরও পরি'স্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হয় একবার। বাবুনগরী ও আনাস মাদানীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যে বৈঠকে দু'জনে সমঝো'তার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরি'স্থিতি আদতে যেখানে ছিল সেখানেই রয়ে যায়। বরং আরো খা'রা'প হয়েছে।

হেফাজত সং'শ্লি'ষ্টরা বলছেন, মূলত আদর্শগতভাবেই হেফাজতে বিভ'ক্তি দেখা দিয়েছে। মৌলিক ইস্যুতে আহমদ শফী এবং জুনায়েদ বাবুনগরীর চি'ন্তাধা'রায় ফারাক তৈরি হয়েছে। বাবুনগরীর সমর্থকদের অ'ভিযো'গ, অত্য'ধিক পুত্র স্নেহ আহমদ শফীকে ভু'ল পথে পরিচালিত করছে। দী'র্ঘদিন ধ'রেই ছেলে যা বলছে তিনি তাই করছেন। আর ছেলে আনাস মাদানী জড়িয়ে পড়েছেন নানা অ'নিয়'ম ও নি'পী'ড়নমূলক কর্মকাণ্ডে।

অন্যদিকে, আল্লামা শফী সমর্থকদের অ'ভিযো'গ, জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজতকে সরকারের সঙ্গে দা'ন্দ্বি'ক অবস্থানে নিয়ে যেতে চান। ভু'ল পথে পরিচালিত করতে চান সংগঠনটিকে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সব মিলিয়ে হেফাজত এখন বি'ভ'ক্তির পথে। যে কসমেটিক্স ঐক্য রয়েছে তাও হয়তো বেশিদিন টিকবে না। যদিও সংগঠনটির ভেতরে অনেকেই এখনো দাবি তুলছেন, শীর্ষ আলেমরা বসে যেন বিভে'দ মি'টিয়ে নেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে