ট্রাকে চাপা পড়ার আড়াই ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার
নিউজ ডেস্ক : ট্রাকের নিচে চাপা পড়ার আড়াই ঘণ্টা পর একজনেক জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে মালবাহী তিনটি ট্রাক ও একটি যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় মহাসড়কে শনিবার মধ্যরাতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে য়ায়।
এ সময় রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে।
এদিকে, দুর্ঘটনা কবলিত একটি ট্রাকের নিচ থেকে ‘বাঁচাও’ ‘বাঁচাও’ চিৎকার ভেসে আসছিল। তার নিচে চাপা পড়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। চাপা পড়া অবস্থায় তার এক হাত ও পা দেখা যাচ্ছিল। দেহটা ট্রাকের ফাঁকা স্থানে আটকা ছিল।
ওই ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালান। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা পর রাত সোয়া চারটায় তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইলের জামালপুর নামক এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ফারহান ফিলিংস্টেশনের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শরীফ আহম্মেদসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বগুড়া থেকে ঢাকামুখী তিনটি আলু ও ধান বোঝাই ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-১৬১৪, ঢাকা মেট্রো-ট-১৬- ৭৩৬৩ ও ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৩৮৮০) একে অপরকে ওভারটেক করতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা কান্তি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের (ঢাকা মেট্রো -ব-১১-৪৩৩৩) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনার পর এই চারটি যানবাহন মহাসড়কের ওপর এলোমেলোভাবে উল্টে পড়ে। ফলে মহাসড়ক দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
বগুড়ার শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ম্যানেজার সোহেল রানা জানান, ট্রাকের নিচে চাপা পড়া ব্যক্তিকে চাপা পড়ার ঘণ্টা পর রাত সোয়া চারটায় উদ্ধার করে জিয়াউর রহমান মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সামান্য আহত হলেও তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানান তিনি। এছাড়া মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস
�