সোমবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২০, ০৭:২০:১২

পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বাপ-দাদারা হিন্দু ছিলেন

পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বাপ-দাদারা হিন্দু ছিলেন

সুমন পালিত : দুনিয়াজুড়ে ২৫ ডিসেম্বর দিনটি পালিত হয় ক্রিসমাস বা বড়দিন হিসেবে। খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্টের অনুমিত জন্মদিন এটি। যিশুখ্রিস্ট মুসলমানদের কাছেও অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন। নবী হিসেবে মান্য করা হয় এই মহাপুরুষকে। মুসলমানদের কাছে তিনি নবী হজরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম। ২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিস্ট বা ঈসা (আ.)-এর প্রকৃত জন্মদিন এমনটি বলার অবকাশ নেই।

কারণ যে সময় তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন সে সময় ফিলিস্তিনি ভূ'খ'ন্ডে দিন মাস বছর বা সময় গণনার নিয়ম ছিল না। যিশুর জন্মের বহুকাল পরে লটারির মাধ্যমে ২৫ ডিসেম্বরকে ওই মহাপুরুষের জন্মদিন হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পর থেকে এ দিনটি দুনিয়াজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে। এদিন উৎসবে মেতে ওঠে কোটি কোটি মানুষ। খ্রিস্টানদের কাছে যিশুখ্রিস্ট 'মুক্তিদাতা' হিসেবে নন্দিত।

যিশুখ্রিস্টের জন্মের ১৮৭৫ বছর পর ১৮৭৬ সালের উৎসবমুখর বড় দিনের রাতে বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বন্দরনগরী করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন আরেক মুক্তিদাতা। যার নাম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। ভারতীয় মুসলমানদের ব্রিটিশ শাসনের নাগপাশ শুধু নয় হিন্দু আধিপত্য থেকে মুক্তির তত্ত্ব হাজির করেছিলেন তিনি। এ তত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান নামের এক অ'দ্ভু'ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব দেখান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। আমাদের আজকের বাংলাদেশও ছিল শুরুতে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অংশ। 

পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে তখন অভিহিত করা হতো আমাদের এই দেশটিকে। পাকিস্তানের অপর অংশ পশ্চিম পাকিস্তান ছিল তেরোশ মাইল দূরে। দুই দেশের মাঝে ভারত নামের বিশাল এক দেশের অবস্থান। ধর্ম ছাড়া পাকিস্তানের দুই অংশের মানুষের মধ্যে অন্য কোনো দিক থেকে মিল ছিল না বললেই চলে। সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানে বাঙালিরা ছিল শো'ষি'ত এবং ব'ঞ্চি'ত। দেশের রাজধানী ছিল সংখ্যালঘি'ষ্ঠ জনসংখ্যা অধ্যুষিত পশ্চিম পাকিস্তানে। সেনা, নৌ ও বিমান বা'হি'নীর সদর দফতরও ছিল পশ্চিমাংশে। 

পাকিস্তানের জাতীয় বাজেটের সিংহভাগ ব্যয় হতো সেনাবা'হি'নীর পেছনে। অথচ সেনাবা'হি'নীতে ৫৬ ভাগ জনগোষ্ঠী বাঙালির অংশগ্রহণ ছিল ৫ শতাংশের সামান্য বেশি। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস পাট রপ্তানি। বাংলাদেশেই উৎপাদিত হতো পাট। অথচ অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগ ব্যয় হতো পশ্চিম পাকিস্তানে। সে অন্যায় এবং শো'ষণের বি'রু'দ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাঙালিরা। ১৯৪৭ থেকে ৭০ পর্যন্ত ২৩ বছর দীর্ঘ আ'ন্দো'লন-সং'গ্রামের পর ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ১৬০ আসনের মধ্যে দুটি বাদে অন্য সবকটিতে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। 

জাতীয় পরিষদের ৩০০ আসনের ১৬০টিতে জয়ী হওয়ায় পাকিস্তানের শা'সন ক্ষ'মতায় বাঙালিদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক জান্তা বাঙালিদের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছে ক্ষ'মতা হ'স্তান্তরে অ'স্বী'কৃতি জানায়। শুধু অ'স্বী'কৃতি নয়, তারা একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতের আঁধারে বাঙালিদের ওপর ট্যাংক, কামান, ম'র্টার, মে'শিনগান নিয়ে ঝাঁ'পিয়ে পড়ে। এ প্রে'ক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তারপর নয় মাসের মু'ক্তিযু'দ্ধ শেষে পাকিস্তান বা'হি'নীর আ'ত্মস'মর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতা ক'ণ্ট'ক মুক্ত হয়। সে অন্য এক ইতিহাস।

পাকিস্তানি শা'সনামল বাঙালিদের জন্য যত তি'ক্তই হোক না কেন, এক সময় আজকের বাংলাদেশ যে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অংশ ছিল এটি এক সত্যি। আজকের বাংলাদেশ যে ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের অনিবার্য ফসল তা অ'স্বী'কার করারও কোনো উপায় নেই। ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগ যত অযৌ'ক্তিকই হোক না কেন, তা পূর্ববাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী বাঙালি মুসলমানদের ভাগ্যোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অখন্ড ভারতে তা সম্ভব হতো কিনা স'ন্দে'হ। 

এমনকি ১৯৪৭ সালে যদি অখন্ড বাংলা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্র'কাশ করত তাতেও পূর্ববাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী বাঙালি মুসলমানদের প'শ্চাৎপ'দতার অব'সান ঘ'ট'ত কিনা সং'শয়ের ঊর্ধ্বে নয়। কারণ ব্রিটিশ আমলে অখন্ড বাংলার প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, খাজা নাজিম উদ্দিন ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মতো বড় মাপের নেতারা। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার জো'রে প্রধানমন্ত্রী পদ প্রাপ্তি ছাড়া সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মুসলিম জনগোষ্ঠীর দৃষ্টি গ্রাহ্য অ'গ্রগ'তি ঘ'টেনি।

যে প্রে'ক্ষাপ'টে পাকিস্তান আ'ন্দো'লনকে খা'টো করে দেখার অব'কাশ নেই। এ আন্দো'লনে বাঙালি মুসলমানদের ব্যা'পক অংশগ্রহণ সামাজিক বাস্তবতার নিরিখে অযৌ'ক্তিক ছিল না। স্বীকার করতেই হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবও ছিলেন পাকিস্তান আন্দো'লনের প্রথম সারির ছাত্রনেতা। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সে সময়ের শীর্ষ আইনজীবী ও তুখো'ড় রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। 

দুর্ভা'গ্যজনক হলেও সত্যি, জিন্নাহর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে অসংখ্য লেখালেখি হলেও ব্যক্তিজীবনের দিকে আলোকপাত হয়েছে খুবই কম। তিনি যা নন, সেভাবে তাকে উপস্থাপনের চেষ্টা চলেছে জিন্নাহ সমর্থক এবং জিন্নাহ বিরো'ধীদের পক্ষ থেকে। জিন্নাহকে অ'পদে'বতা বা দা'নব বানানোর চেষ্টা করেছেন বি'দ্বে'ষ ভাবাপন্নরা। আবার অন্ধ সমর্থকরা তাকে প্রকারান্তরে ফেরেশতা কিংবা দেবদূতের মতো ভু'লত্রু'টিমু'ক্ত সত্তা হিসেবে তুলে ধ'রার চেষ্টা করেছেন। 

জিন্নাহর একমাত্র কন্যা দিনা পাকিস্তানে যেভাবে তার বাবার বন্দনা করা হয় তাতে বি'র'ক্ত প্রকা'শ করেছেন এক সাক্ষাৎকারে। জিন্নাহ পরিবার সেই ব্রিটিশ আমলে করাচিতে বসতি গড়লেও তাদের আদি বাড়ি ভারতের গুজরাটে। উইকিপিডিয়ার তথ্যানুযায়ী জিন্নাহরা উনিশ শতকে গুজরাটের কাথিরাড় থেকে করাচিতে চলে আসেন। তার পিতামহ ছিলেন নিরা'মিষভোজী হিন্দু সম্প্রদায় লোহানা গোত্রের সদস্য। তিনি মাছের ব্যবসা করে এলাকার বিশিষ্ট ধনাঢ্য ব্যক্তিতে পরিণত হন।

লোহানা গোত্রের কেউ আমিষ অর্থাৎ মাছের ব্যবসা করবে তা মেনে নিতে পারেনি ওই সম্প্রদায়ের সমাজপতিরা। তারা জিন্নাহর পিতামহকে সপরিবারে সমাজচ্যু'ত করে। বা'ধ্য হয়ে তিনি মাছের ব্যবসা বাদ দিয়ে নিজ সমাজে ফিরে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু সমাজপতিরা তাতে রাজি হননি। ফলে তার পুত্র পুঞ্জলাল ঠাক্কুর অর্থাৎ জিন্নাহর পিতা চার ছেলেসহ হিন্দু ধর্ম ত্যা'গ করেন। উইকিপিডিয়ার তথ্যানুযায়ী জিন্নাহ জন্মগ্রহণ করেন হিন্দু পরিবারে।

তার বাবা সন্তানদের নিয়ে ধর্মা'ন্তরিত হলে জিন্নাহও মুসলমান হয়ে যান। শিয়া ইসমাইলি ফেরকার ইসলাম গ্রহণ করেন তারা। উল্লেখ্য, ভারতীয় উপমহাদেশে ইসমাইলি সম্প্রদায়ের মুসলমানরা খো'জা নামে পরিচিত। ইসমাইলি সম্প্রদায় কয়েকশ বছর ধ'রে পৃথিবীর অন্যতম শান্তিবাদী ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এ সম্প্রদায়ের উদ্ভব ও বিকাশে গু'প্তহ'ত্যা এবং রো'মহ'র্ষ'ক হিং'সা'ত্ম'ক কর্মকান্ডে জড়িত। ইসলামের শিয়া মতাবলম্বীদের মধ্য থেকে ইসমাইলি সম্প্রদায়ের উদ্ভব। 

শিয়ারা হজরত আলী (রা.)-কে তাদের ইমাম বলে মনে করেন। ইমাম শব্দের অর্থ নেতা। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আধ্যাত্মিক নেতা। হজরত আলীর (রা.) পর ষষ্ঠ ইমাম জাফর আল সাদিক পর্যন্ত সব ইমামকে ইসমাইলীয়রা স্বীকার করলেও সপ্তম ইমাম হিসেবে মুসা কাজিমকে স্বীকার না করে তার ভাই ইসমাইলকে ইমাম হিসেবে তারা মান্য করেন। স্মর্তব্য, ইমাম জাফর আল সাদিকের পর ইসমাইলেরই ইমাম হওয়ার কথা। কিন্তু বাবার জীবিতাবস্থায় তার মৃত্যু হলে ইমাম জাফর আল সাদিক আরেক পুত্র মুসা কাজিমকে পরবর্তী ইমাম হিসেবে মনোনয়ন দেন। 

ইসমাইলের সমর্থকরা এটি মেনে নিতে পারেননি। ফলে শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভ'ক্তি আসে। ইসমাইল সমর্থকদের বিশ্বাস, তাদের ইমাম গায়েব হয়ে আছেন এবং যে কোনো সময় পা'পা'চারে নিম'জ্জিত সমাজ সংস্কারে তিনি ইমাম মাহাদি রূপে আবি'র্ভূত হবেন। অন্যদিকে শিয়া সম্প্রদায়ের অন্য অংশ পরিচিত দ্বাদশ ইমামে বিশ্বাসী হিসেবে। তারা বিশ্বাস করেন মুসা কাজিম সপ্তম ইমাম এবং দ্বাদশ ইমাম আবির্ভূত হবেন ইমাম মাহাদি নামে।

ইসমাইলীয় সম্প্রদায়ের বিশ্বাস আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম হলেন ইমামরা। সম্মানিত ইমামদের মাধ্যমে এবং তাদের অনুসারীরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও স'ন্তু'ষ্টি অর্জন করে। ইসমাইলীয় সম্প্রদায় তাদের আ'ধিপ'ত্য প্রতিষ্ঠায় গু'প্ত হ'ত্যাসহ যে নৃ'শং'সতার আশ্রয় নেয় তা ইতিহাসের একটি স'মালো'চিত অধ্যায়। ১৮৪০ সালে ইসমাইলিদের মধ্য থেকে একটি বড় অংশ আগা খানের নেতৃত্বে আলাদা ধর্মীয় গোষ্ঠী গড়ে তোলেন। এ সম্প্রদায়ের ইমাম আগা খান ইরান থেকে ভারতের মুম্বাই নগরীতে এসে ঠাঁই নেন।

ব্রিটিশ শা'সকদের পৃষ্ঠপোষকতাও পান তারা। ইসমাইলিয়া সম্প্রদায়ের তৃতীয় ইমাম সুলতান মুহাম্মদ শাহ আগা খান ১৮৮৫ সালে মাত্র ৭ বছর বয়সে ইমামতি প্রাপ্ত হন। ৭৭ বছর যাবৎ তিনি ছিলেন ইসমাইলিয়া সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা বা ইমাম। মুসলিম লীগের প্রথম সভাপতিও ছিলেন তিনি। ব্রিটিশ সম্রাটের কাছ থেকে নাইটহুডে ভূষিত হন তৃতীয় আগা খান। প্রথম মহাযু'দ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত জাতিপুঞ্জ বা লিগ অব নেসন্সের সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৩৪ থেকে ৩৮ সাল পর্যন্ত।

বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে আগা খানের নেতৃত্বাধীন ইসমাইলীয় জামাতের কয়েক লাখ সদস্য রয়েছে। এ সম্প্রদায়ের সদস্যরা নিজেদের মুসলমান বলে পরিচয় দেন। তারা নামাজ রোজা এবং অন্যান্য ধর্মাচারও পালন করেন। মসজিদের বদলে তারা উপাসনার জন্য যান জামাতখানায়। সেখানে তারা কোরআন পাঠ ও নামাজ আদায় করেন।

ইসমাইলীয় সম্প্রদায়ের বিকাশের সঙ্গে গু'প্তহ'ত্যা এবং স'ন্ত্রা'সের রো'মহ'র্ষ'ক সম্পর্ক থাকলেও স্বী'কার করতে হবে ইসমাইলীয়রা এখন পৃথিবীর অন্যতম শান্তিবাদী ধর্মীয় সম্প্রদায়। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বাবা ইসমাইলীয় ফেরকার ইসলাম গ্রহণ করলেও ভারতীয় উপ-মহাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি মুসলমানদের অনেকে এ সম্প্রদায়কে মুসলমান বলে স্বী'কার করতেও না'রাজ।  এমনকি শিয়ারাও ইসমাইলীয় বিশেষ করে আগা খানের নেতৃত্বাধীন ইসমাইলীয় সম্প্রদায়কে বাঁ'কা চোখে দেখে।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় ইসমাইলীয় সম্প্রদায়ের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে দেশের রাষ্ট্র পিতা জিন্নাহ ছিলেন ইসমাইলীয় সম্প্রদায়ের সদস্য। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় যে দলটি নেতৃত্ব দেয় সেই মুসলিম লীগের প্রথম সভাপতি ছিলেন ইসমাইলীয় সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা তৃতীয় আগা খান। জিন্নাহ পরিবার হিন্দু ধর্ম ত্যা'গ করে শিয়া ইসমাইলীয় ফেরকার ইসলাম গ্রহণ করলেও পরবর্তী প্রজন্মের সদস্যরা তাদের বিশ্বাস শিয়া ইসলামের দিকে নিয়ে যায়। লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক। সূত্র : বিডি প্রতিদিন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে