সোমবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২০, ১১:১৫:৩৬

নারীকে বিব'স্ত্র করে নি'র্যাতনের ভি'ডিও ভাই'রালের আগে ৩২ দিন পুলিশ কী করেছে, প্রশ্ন হাইকোর্টের

নারীকে বিব'স্ত্র করে নি'র্যাতনের ভি'ডিও ভাই'রালের আগে ৩২ দিন পুলিশ কী করেছে, প্রশ্ন হাইকোর্টের

নিউজ ডেস্ক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ওই নারীকে বিব'স্ত্র করে নি'র্যাতন করা হয়েছে গত মাসের (সেপ্টেম্বর) শুরুতে। এর ৩২ দিন পর অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এ পাশবিক নি'র্যাতনের ভি'ডিও। কিন্তু এ ঘ'টনায় এক মাসেরও বেশি সময়ে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা কী ছিল- এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেছেন, ‘৩২ দিন পর ভি'ডিও ভাই'রাল হয়েছে- এর আগে পুলিশ কী করেছে?’ অন্যদিকে কোনো মানবাধিকার সংগঠন আদালতের শরণাপন্ন না হওয়ায় হ'তাশাও প্রকাশ করেছেন উচ্চ আদালত। সোমবার (৫ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ (ভার্চুয়াল) এমন মন্তব্য করেন। এরপর রুল জারিসহ ও পাঁচ দ'ফা নি'র্দেশনা দেন আদালত।

এ আদালতে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিনউদ্দিন, সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান, জামিউল হক ফয়সাল, রাশিদা চৌধুরী নিলু, তানজীম আল ইসলাম প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।

শুনানিতে আদালত বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের ভূমিকায় অসন্তো'ষ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ঘ'টনার ৩২ দিন পর যখন ভি'ডিও ভা'ইরাল হলো তখন পুলিশ তৎপর হয়েছে। এর আগে তারা কী করেছে? এই ভি'ডিও যদি ভাই'রাল না হতো তাহলে তো পুলিশ জ'ড়িতদের বিরু'দ্ধে ব্যবস্থা নিতো না। ঘ'টনা সবার চোখের আড়ালেই থেকে যেত।’

একই সঙ্গে এ ঘ'টনায় কোনো মানবাধিকার সংগঠন বা নারী সংগঠন প্রতিকারের জন্য আদালতের শরণাপন্ন না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে হাইকোর্ট বলেন, ‘আমরা আশাহত হয়েছি যে, অধিকার, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্লাস্টের মতো সংগঠন বা কোনো নারী সংগঠন এগিয়ে আসেনি।’

এর আগে সকালে ওই ঘ'টনা নিয়ে সোমবারের (৫ অক্টোবর) বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের ন'জরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। ন'জরে আনার পর তাদের একটি লিখিত আবেদন জমা দিতে বলেন আদালত। বেলা ২টা ৩০ মিনিটের দিকে শুনানির সময় নির্ধারণ করেন।

দুপুরে বিরতির পরে আদালতের নির্ধারিত সময়ে শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও আব্দুল্লাহ আল মামুন ভাই'রাল হওয়া ভি'ডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অ'পসারণের আবেদন জানান।

তারা বলেন, ‘এটা একটি জনস্বার্থমূলক বিষয়। ভাই'রাল হওয়া ভি'ডিওটি এখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়ে গেছে। এটা থাকলে সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলবে এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। এটা অপসারণ করা দরকার। তবে ভি'ডিওটি সাক্ষ্য হিসেবে সংরক্ষণের জন্য বিটিআরসির প্রতি নি'র্দেশনাও চাচ্ছি।’
এছাড়া অন্য আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল আদালতে আর্জি তুলে বলেন, ‘এ ধরনের ঘ'টনা যাতে না ঘ'টে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাচ্ছি।’ জেড আইন খানের এই আর্জির সঙ্গে একমত পোষণ করে তিনি নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময় শুনানিতে অংশ নেন অন্য আইনজীবীরা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে