‘বাঙালি মেধায় ভালো, কিন্তু ঘুষ খায়’
ঢাকা : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেছেন, মেধার দিক থেকে আন্তর্জাতিকভাবে বাঙালিরা অনেক এগিয়ে, কিন্তু একটাই দোষ- ঘুষ খায়।
রোববার দুপুরে মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল নিমূলকরণ সংক্রান্ত’ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মৎস্য অধিদপ্তর।
মন্ত্রী বলেন, মাছ রপ্তানিতে বিশ্বে বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে। প্রধানমন্ত্রী মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের কথা ভাবছেন। বিশ্বে যাতে চাহিদা আরো বৃদ্ধি পায়।
মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে সরকারের অনেক পরিকল্পনা আছে। এগুলো কার্যকর করতে পারলে ২০১৮ সালের মধ্যে মাছে–ভাতে বাঙালি কথাটি আবারো প্রচলিত হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, দেশের উপকূলীয় দ্বীপ, চরাঞ্চল, নদীর মোহনাসহ সর্বোচ্চ জোয়ারে ১০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত অধিকাংশ সামুদ্রিক প্রজাতির মাছের ডিম, লার্ভা ও পোনার বিচরণ এলাকা।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে উপকূলীয় জলাশয়ে ১০ মিটারের কম গভীরতায় বেহন্দি জাল, কারেন্ট জাল, মশারি জাল, চটজাল, টং জালের ব্যবহার, যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক মৎস্য নৌযানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মৎস্য আহরণ হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ মাছ ও চিংড়ির প্রজনন মৌসুমে আহরণ বন্ধ না রাখা, সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ ১৯৮৩ ও তার অধীনে প্রণীত বিধিমালার যথাযথভাবে প্রতিপালন না হওয়া এবং জলবায়ু ও পরিবশে পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাগরের মৎস্যসম্পদের স্থায়ীত্বশীল আহরণ, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের স্বার্থে সরকার ২০১৩ সালের ৭ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। সমুদ্র ও উপকূলীয় মৎস্য সম্পদ সুরক্ষার স্বার্থে সরকার বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা বিশেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, বিজিবি, বাংলাদেশ পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসনের সরাসরি সহায়তায় আইনটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি ‘সম্মিলিত বিশেষ অভিযান’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
ছায়েদুল হক বলেন, আগামী ৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি এ অভিযান চলবে। প্রাথমিক পর্যায়ে উপকূলীয় বিভিন্ন দ্বীপ, চরাঞ্চল, নদীর মোহনা হতে সব ধরনের ক্ষতিকর জাল অপসারণ করা হবে। এ জন্য তিনটি জেলার জন্য জেলা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (মৎস্য) আহ্বায়ক করে একটি কেন্দ্রিয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আরিফ আজাদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র, সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান প্রমুখ।
৩ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম
�