শনিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২০, ০৩:৪৬:১৭

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে ‘ধন্যবাদ’ জানাল হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে ‘ধন্যবাদ’ জানাল হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

নিউজ ডেস্ক : ফ্রান্সের ঘটনায় দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় প্রতিবাদ জানানোয় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

শনিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট মোড়ে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত গণঅবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত এ ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেন, বন্ধুরা রাজনৈতিক দলগুলো আজ পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দিতে পারল না (সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা)। আমি ধন্যবাদ জানাই হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির নুর হোসাইন কাসেমীকে। তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব। তিনি গত পরশু এক বিবৃতিতে বলেছেন ‘মানবাধিকারবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। আমরা লক্ষ করছি রাসুলের (সা.) মর্যাদা রক্ষার ঈমানি আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে এত সাম্প্রদায়িক গোলোযোগ সৃষ্টির চক্রান্ত করছে।’ এই কথাগুলো তো আমরাই বলেছি গত ২ তারিখে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রানা দাশগুপ্ত বলেন, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনার বাড়িতে বছরে অন্তত পাঁচ থেকে ছয়বার এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ নিয়ে কথা বলি। আজ যখন আপনি বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘রানাবাবু যা বলেছেন, তাতে বাড়িয়ে বলা হয়েছে।’ আমরা বলতে চাই তাহলে কাসেমী সাহেবও কি বাড়িয়ে বলেছেন?

তিনি বলেন, আমরা চাই, যা কিছুই আমরা বলেছি তার পুঙ্খানুপঙ্খ বিচার চাই, পুঙ্খানুপঙ্খ তদন্ত চাই, অনতিবিলম্বে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ চাই। আর যারা এসব করছে তাদের চিহ্নিত করা চাই আর ফেসবুকের মাধ্যমে ফাঁসিয়ে যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাদের মুক্তি চাই।

এর আগে সকাল ৯টার পর থেকে ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীরা চট্টগ্রামের নিউমার্কেট মোড়ে সমবেত হতে শুরু করেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই শুরু হয় গণঅবস্থান কর্মসূচি। একপর্যায়ে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত নেতাকর্মীদের নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। এ সময় তারা ‘ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার’, ‘৭২ এর সংবিধান ফিরিয়ে দাও’, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তির কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ স্লোগান দেন।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবস্থান কর্মসূচি বিশাল জনসভায় রূপ নেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রথমদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও একপর্যায়ে সে চেষ্টা কাজ দেয়নি।

নগরের প্রধান সড়কে হাজার হাজার মানুষের অবস্থান কর্মসূচির কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় আটকা পড়ে হাজার হাজার গাড়ি। যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। পরে বেলা ১২টার দিকে গণঅবস্থান শেষ করে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে