শিক্ষাঙ্গনে অচলাবস্থা বছরের শুরুতেই
শরীফুল আলম সুমন : হরতাল-অবরোধের কারণে গত বছরের প্রথম তিন মাসই ঠিকমতো ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি প্রায় সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এবার সেই ধরনের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি এখনো না থাকলেও বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদার ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে শিক্ষাঙ্গন।
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে অধ্যাপকদের পদ ও বেতন স্কেল অবনমনের প্রতিবাদে এবং সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহালের দাবিতে এবার বছরের শুরুতেই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে। দেশের ৩০৬টি সরকারি কলেজের শিক্ষকরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন আজ সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ১১ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।
এমনকি এ সময়ে কোনো পরীক্ষাও নেওয়া হবে না। আর এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কবে থেকে নতুন স্কেলে বেতন হাতে পাবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরাও দাবি করেছেন, নতুন বেতন কাঠামোতে টামই স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড তুলে দেওয়ায় ৪০ হাজার শিক্ষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁরাও যেকোনো সময় আন্দোলনে নামবেন।
বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকরা এসব নিয়ে আট মাস ধরে আন্দোলন করলেও সমাধানের লক্ষ্যে এখনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। এ বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে অর্থ মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে। এমনকি বেতনবৈষম্য নিরসনসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকরা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘নতুন বেতন কাঠামোয় কী পাচ্ছেন, তা না জেনেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা আন্দোলনে যাচ্ছেন। প্রশাসনে ১০ জন জ্যেষ্ঠ সচিব প্রায় দুই লাখের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ১১ হাজার। দুই লাখ থেকে হয় ১০ জন। ১১ হাজার থেকে একজনও তো হয় না।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা জানান, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে গত ৬ ডিসেম্বরের বৈঠকে উত্থাপন করা দাবিগুলো হচ্ছে অষ্টম বেতন স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সপ্তম বেতন কাঠামোর অনুরূপ সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল থাকবে এবং কোনো সুযোগ-সুবিধা কমানো হবে না। জ্যেষ্ঠ সচিবদের জন্য সৃষ্টি করা বিশেষ গ্রেডে সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের একাংশকে উন্নীত করার সুযোগ রাখা হবে, যাতে শিক্ষকরাও সর্বোচ্চ মর্যাদা পেতে পারেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষকদের শুরুর বেতন কমপক্ষে অষ্টম গ্রেড থেকে শুরু করতে হবে। অষ্টম বেতন কাঠামোর গেজেটে এসবের মধ্যে প্রথম দুটি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেনি বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
অথচ গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটা মিটিং করেছিলাম। কিছু কথাবার্তা হয়েছিল। আমি একসময় বলেছিলাম, জাতীয় অধ্যাপকদের সুপার গ্রেডে নেব। কিন্তু আমি এটা প্রত্যাহার করেছি। আমার বোন জাতীয় অধ্যাপক ছিল। সে আমাকে বলল, আমরা তো সরকার থেকে একটা থোক ছাড়া কিছু পাই না, যে থোক সচিবদের বেতনের সমান। আর কিছু না। নো হাউজিং। আর শিক্ষায় প্রচুর গ্রেড-১ কর্মকর্তা রয়েছেন, সেখান থেকে কোনো একটা পদ্ধতি বের করতে হবে, যাতে এক-দুইজনকে আনা যায়। আমরা সেটা সমাধানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দিয়েছি। তারা সেটা এখনো সমাধান করেনি।’
এর সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সমাধান দেওয়ার মতো কিছু নাই। তারা আন্দোলন করছেন, আবার বলব, না জেনে। কী তাঁরা পাচ্ছেন, তা জানেনই না।’ পুরোপুরি অচল হলে কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখা যাক, সেই স্টেজে কখন যাই।’
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবির ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এই আলোচনা স্থগিত হয়নি। এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এটা কিভাবে অতি দ্রুত করা যায়, সেই চেষ্টা আমরা করছি।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, ‘দুই মন্ত্রীর কাছ থেকে দুই ধরনের সিগন্যাল পাওয়া যাচ্ছে। এটা এমন কোনো সমস্যা নয়, যা সমাধান করা যাবে না। আর এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন, সেটাও হতে পারে না। এখন দ্রুতই বেতনবৈষম্য নিরসন কমিটিকে বসতে হবে। উভয় পক্ষকে কিছুটা ছাড় দিয়ে সমাধানে আসতে হবে। আর মিটিংয়ে যা সিদ্ধান্ত হয় তা প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষকরা সব সময় সম্মানের ব্যক্তি। তাদের টাকার চেয়েও মর্যাদা বড়। এত দিন যে মর্যাদা পেয়ে আসছেন সেখান থেকে তো পেছনে নেওয়া যাবে না। আর শিক্ষকরা না বুঝে আন্দোলন করছেন, এমন কথা অর্থমন্ত্রী না বললেও পারতেন।’
বেতনবৈষম্য নিরসনসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশের কথা বলে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা তৃতীয় গ্রেডভুক্ত। তবে পরবর্তী সময়ে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলে তারা সিলেকশন গ্রেড পেয়ে গ্রেড-১ পেয়ে থাকেন। কিন্তু জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫-তে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বিলুপ্ত হওয়ায় নির্দিষ্ট নিময় মেনে গ্রেড-৩ ভুক্ত অধ্যাপকরা গ্রেড-২ ও গ্রেড-১-এ যেতে পারবেন। তবে গ্রেড-১ ভুক্ত অধ্যাপকের সংখ্যা গ্রেড-২ ভুক্ত অধ্যাপকের ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।
আর যেহেতু গ্রেড-১ ও গ্রেড-২-এর সঙ্গে সরকারের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আর্থিক সংশ্লেষ জড়িত, তাই এ দুই গ্রেডে বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে ইউজিসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি কমিটির পূর্বানুমোদনক্রমে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় তা কার্যকর করতে পারবে। কিন্তু বেতনবৈষম্য নিরসনসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের অভিযোগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব সিদ্ধান্ত অত্যন্ত চাতুরীর সঙ্গে বেতনবৈষম্য দূরীকরণসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করেছেন। ক্লাসে ক্লাসেও শিক্ষার্থীদের অবহিত করা হয়েছে আন্দোলনের বিষয়ে। এরপর ৭ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলবে অবস্থান ধর্মঘট। একই সঙ্গে ওই দিন পর্যন্ত কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচিও পালিত হবে। ১১ জানুয়ারি একযোগে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু হবে।
গত বছরের মে মাসে অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো ঘোষণার পরপরই চার দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এমনকি কয়েক দফায় অর্ধদিবস ও পূর্ণদিবস কর্মবিরতিও পালন করেন শিক্ষকরা।
এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। তিনি সকালে এক কথা বলেন আর বিকেলে এক কথা বলেন। আগেও তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করার পর তিনি আমাদের দাবির যৌক্তিকতা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন বলছেন ভিন্ন কথা। আমাদের আর পেছনে সরে আসার উপায় নেই। ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত এখনো অনেক সময় রয়েছে। সরকার ইচ্ছা করলে পাঁচ মিনিটেই এ সমস্যা সমাধান করতে পারে। প্রজ্ঞাপন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি থেকে পিছু হটব না।’
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আগে থেকেই আন্দোলনে নেমেছেন ৩০৬টি সরকারি কলেজের প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষক। সিলেকশন গ্রেড, টাইম স্কেল বাতিল করার প্রতিবাদে এবং অধ্যাপকদের বিদ্যমান বৈষম্যমূলক বেতন স্কেল আপগ্রেডেশনের দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি একাধিকবার কর্মবিরতিও পালন করেছে। কিন্তু প্রকাশিত গেজেটে তাদের দাবির কোনো বাস্তবায়ন না হওয়ায় আজ ও কাল আবারও কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তারা।
কলেজ শিক্ষকদের দাবি, পঞ্চম গ্রেডের সহযোগী অধ্যাপকরা পদোন্নতি পেয়ে অধ্যাপক পদে তৃতীয় গ্রেড পাবেন। আর সহযোগী অধ্যাপকদের পদ চতুর্থ গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। নায়েম, মাউশি, এনসিটিবি, শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রধান ও অনার্স-মাস্টার্স কলেজের অধ্যক্ষের পদ প্রথম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে।
এ ছাড়া শিক্ষা প্রশাসনের পরিচালক ও অনার্স-মাস্টার্স কলেজের উপাধ্যক্ষ, শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও এনসিটিবির সদস্য পদ দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করতে হবে। অনার্স-মাস্টার্স কলেজে প্রতিটি বিভাগের দুটি অধ্যাপকের পদ রাখতে হবে এবং একজন সিনিয়র অধ্যাপককে দ্বিতীয় গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল, সুপারনিউমার্যারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি, অন্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের শিক্ষায় প্রেষণ বাতিল এবং অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মতো সমান সুবিধা দিতে হবে।
সমিতির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ও কাল সরকারি কলেজ, টিটি কলেজ, মাউশি অধিদপ্তর, শিক্ষা বোর্ডসমূহ, এনসিটিবি, নায়েম, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, সরকারি কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব অফিস ও প্রকল্পে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করবেন।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, ‘আমাদের দুই দিনের কর্মবিরতির পরও দাবি মানা না হলে ২২ জানুয়ারি সাধারণ সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তবে পরবর্তী কর্মসূচি আরো কঠোর হওয়ার দিকেই যাবে।’ তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর তিনি বলেছিলেন, অধ্যাপকদের পদ আপগ্রেড করে সে প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা এর ফল পাইনি। নতুন বেতন স্কেলে আমাদের পদবৈষম্য দূর না করে আরো ডাউন করে দিয়েছে। এটা অত্যন্ত অসম্মানজনক। আমাদের অসম্মান করা হবে আর আমরা বসে থাকব সেটা তো হতে পারে না।’
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে আমরা সকলের সঙ্গে নতুন পে স্কেল পাব। এখনো সে দিকেই তাকিয়ে আছি। তবে কোনো ধরনের শর্ত আমরা মানব না। যখন একজন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা হয় তখনই তাঁর যোগ্যতা যাচাই করা হয়। আর প্রতিষ্ঠানের আয় যদি নিতে চায় তাহলেও আমাদের আপত্তি নেই, তবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে শিক্ষকসমাজ আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি জুলফিকার আলী বলেন, ‘২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার পর প্রাপ্যতা থাকা সত্ত্বেও সব টাইম স্কেল বন্ধ হয়ে যায়। আর নতুন বেতন স্কেল হওয়ার পর একেবারেই টাইম স্কেল বন্ধ হয়ে গেল। ফলে আমরা আগেও টাইম স্কেল পাইনি আর এখন তো পাবই না। দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়ে আমরা প্রায় ৪০ হাজার প্রধান শিক্ষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এ দাবিতে আমরা আগেও আন্দোলন করেছি। আর চলতি মাস থেকে আবার আন্দোলনে নামব।’
জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষকদের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদেরও নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে। এতে যদি ব্যাঘাত ঘটে তাহলে সরকারের নীতিনির্ধারকদের বিষয়টি আমলে নেওয়া উচিত। শিক্ষকরা অন্যান্য পেশার চেয়ে কম সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাই সরকারের উচিত শিক্ষকদের যুক্তিসঙ্গত দাবিগুলো মেনে নেওয়া। তবে এ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষেরই ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। এই আন্দোলন চলতে থাকলে তা একসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যেও সংক্রমিত হবে। দ্রুত সরকারেরই উচিত হবে বিষয়টির সমাধান করা।’ -কালেরকণ্ঠ
৪ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ডটকম/এসএস/এসবি
�