‘পুরো ভবনটাই কাঁপছিল, ভয়াবহ এক অনুভূতি’
সিদ্ধার্থ সিধু : প্রথমে মনে করেছিলাম আমি নিজেই মনে হয় পা নাড়াচ্ছি। কিন্তু ক্রমশ কম্পন এতো বেশি হতে লাগলো যে, আশপাশে মানুষ চিৎকার করা শুরু করেছে। একসময় বুঝলাম আমার বাসার পুরো ভবনটাই কাঁপছে। পাঁচতলার উপর ঘরের মধ্য মনে হচ্ছিল এই বুঝি ধসে পড়লো। বিশ্রি একটা অনুভূতি, নিজেকে শক্ত রেখেছি। একটা সময় বাসার দরজা খুলে বের হয়ে আসলাম। ফ্লাটের অন্যসব বাসিন্দা তখন সিড়ির গেট খোলার জন্য বিকট আওয়াজ করছে। বিশেষ করে মেয়ে ও মহিলা বেশি চিৎকার করছে।
জীবনে ভয় কি জিনিস তা আজ পেলাম। নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্ঠা করেছি, নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে কতমানুষই না মরেছে, আমিও নাই মরলাম। নিজের ভেতর সাহস ও শক্তি যোগাতে যতই চেষ্টা করি, একটা সময় দেখলাম আমার নিজের গলা-বুক শুকিয়ে গেছে। ঘুমের মধ্য হয়ত অনেক মানুষই প্রকৃত কম্পনটা অনুভূতি করেননি। কিন্তু আমি জেগে ছিলাম। ভয়াবহ কম্পন, থাকি আটতলা একটি ভবনের পাঁচতলায়। মনে হচ্ছি এই বুঝি ভবনটা আমার উপর ধসে পড়লো। ঢাকাতে এর আগে কখনই এতো মাত্রার কম্পন আমি দেখিনী।
লেখক : সাংবাদিক ও অধিকারকর্মী।
�